ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪মাস চাল আমদানি হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫১৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাদ্য উৎপাদন বাড়ায় প্রতি বছরই কমছে চাল আমদানির পরিমাণ। চলতি বছর আমদানি ছাড়াই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।

নগরায়ণ, শিল্পায়নের কারণে ধীরে ধীরে কমছে কৃষি জমি। সর্বশেষ কৃষিশুমারি অনুযায়ী বছরে দেশে আবাদি জমি কমছে ০.২০ শতাংশ হারে। তবে জমি কমলেও গেল ১৫ বছরে ধান উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। উচ্চ ফলনশীল ধানচাষ, কৃষিতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনার কারণেই এ সুফল এসেছে।

গত অর্থবছরে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে যা ছিল সাড়ে ১৩ লাখ টনে। চলতি বছর এখনো আমদানি করা হয়নি। সরকারিভাবে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল আমদানি না করার চিন্তা রয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‌‌‌‘পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় খাদ্য ঘাটতি শঙ্কা নেই। আমন মৌসুমের চাল বাজারে আসা পর্যন্ত কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। আমাদের যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে তাতে আমদানি করতে হবে না। তবে আমনে যদি আবার কোনো সমস্যা হয়ে যায় তাহলে হয়তো আমদানি করতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যাপ্ত চাল রয়েছে।’

তবে উৎপাদন বাড়লেও বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দামও। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়ার তাগিদ কৃষি অর্থনীতিবিদদের।

কৃষি অর্থনীতিবিদ সাইদুর রহমান বলেন, ‌‌‌‌‘আমন মাঠে রয়েছে। এ বছর হালকা বন্যা হয়েছে কয়েক জেলায়। সে কারণে বলা যায়, আমনের উৎপাদন অনেক ভালো হবে। বিগত বোরো ও আমনের উৎপাদনও ভালো হয়েছিল। কৃষকরা উচ্চফলনশীল জাতগুলো এখন বেশি চাষ করছেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই ফলন বেড়ে যাবে।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশের সরকারি গুদামে ধান, চাল ও গমের মজুত রয়েছে ১৭ লাখ ৫৮ হাজার টন।

নিউজটি শেয়ার করুন

উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪মাস চাল আমদানি হবে না

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

খাদ্য উৎপাদন বাড়ায় প্রতি বছরই কমছে চাল আমদানির পরিমাণ। চলতি বছর আমদানি ছাড়াই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।

নগরায়ণ, শিল্পায়নের কারণে ধীরে ধীরে কমছে কৃষি জমি। সর্বশেষ কৃষিশুমারি অনুযায়ী বছরে দেশে আবাদি জমি কমছে ০.২০ শতাংশ হারে। তবে জমি কমলেও গেল ১৫ বছরে ধান উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। উচ্চ ফলনশীল ধানচাষ, কৃষিতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনার কারণেই এ সুফল এসেছে।

গত অর্থবছরে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে যা ছিল সাড়ে ১৩ লাখ টনে। চলতি বছর এখনো আমদানি করা হয়নি। সরকারিভাবে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল আমদানি না করার চিন্তা রয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‌‌‌‘পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় খাদ্য ঘাটতি শঙ্কা নেই। আমন মৌসুমের চাল বাজারে আসা পর্যন্ত কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। আমাদের যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে তাতে আমদানি করতে হবে না। তবে আমনে যদি আবার কোনো সমস্যা হয়ে যায় তাহলে হয়তো আমদানি করতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যাপ্ত চাল রয়েছে।’

তবে উৎপাদন বাড়লেও বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দামও। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়ার তাগিদ কৃষি অর্থনীতিবিদদের।

কৃষি অর্থনীতিবিদ সাইদুর রহমান বলেন, ‌‌‌‌‘আমন মাঠে রয়েছে। এ বছর হালকা বন্যা হয়েছে কয়েক জেলায়। সে কারণে বলা যায়, আমনের উৎপাদন অনেক ভালো হবে। বিগত বোরো ও আমনের উৎপাদনও ভালো হয়েছিল। কৃষকরা উচ্চফলনশীল জাতগুলো এখন বেশি চাষ করছেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই ফলন বেড়ে যাবে।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশের সরকারি গুদামে ধান, চাল ও গমের মজুত রয়েছে ১৭ লাখ ৫৮ হাজার টন।