ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বর্তমান সরকার সংবিধান চোর, এদের ক্ষমা নেই : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান চুরি করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার ভোট চুরি করেছে। এর চেয়ে বড় হলো, তারা সংবিধান চোর। এদের কোনো ক্ষমা নাই।’ আমরা জীবন দিয়ে লড়াই করছি, পেছন ফিরে তাকানোর সময় নেই। আমাদের অনেক ভাই চলে গেছে, অনেক রক্ত ঝরেছে। আমাদের অনেক মা-বোনের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে; অনেক সন্তান পিতৃহারা হয়েছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক যুব-সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা লক্ষ্য করছেন যে ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি টিম এসেছিল। এই দলটি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কোনো প্রতিনিধি দল নয়। তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন দল। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই দলের থিংক ট্যাংক। তাদের পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ আছে কি না এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য বড় কোনো টিম পাঠাবে কি না তা দেখার জন্য। এটাই তাদের উদ্দেশ্য। তারা ৫ দিন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং নির্বাচন কমিশন সবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা যাওয়ার আগে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা ৫টি সুপারিশ করেছেন। সেখানে প্রধান কথা হচ্ছে- সংলাপ।

ফখরুল বলেন, সেটার জবাব দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন—আমরা তখনই আলোচনায় বসতে রাজি আছি যখন বিএনপি সমস্ত শর্ত বাদ দিয়ে আলোচনায় আসবে। সবার আগে আওয়ামী লীগের কাছে প্রশ্ন– আপনারা যে সরকারে বসে আছেন, সাংবিধানিকভাবে কি বৈধ? আমি প্রমাণ করছি যে আপনারা (সরকার) সাংবিধানিকভাবে বৈধ নন। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন। তার প্রমাণ যে রায়ের বদৌলতে, যেটা আপনারা দেখান, সেই রায়ে বিচারপতি খায়রুল হক বলেছেন, এটা প্রাসঙ্গিক নয়, তবে দেশের স্বার্থে আরও ২টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে। সেই রায় ১৬ মাস পরে পূর্ণাঙ্গ বের হয়েছিল যেটার সঙ্গে আগেরটার কোনো মিল ছিল না। রায় প্রকাশের আগেই আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে সংসদে আইন পাস করেছে।

তরুণদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলতে হবে— এই সরকার শুধু ভোট চোর নয়, তারা অবৈধ সরকার। সারা পৃথিবীকে জানাতে হবে তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। এজন্য আমরা বলেছি, আগে পদত্যাগ করুন, সংসদ বাতিল করুন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।

পুলিশের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জানি পুলিশের সবাই খারাপ কাজ করতে চায় না। বেআইনিভাবে কাজ করতে চায় না। এই আওয়ামী লীগ বাধ্য করছে বেআইনিভাবে, আইনের শাসনকে দূরে রেখে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করার জন্য।

খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জোর করে বন্দি করে রাখা হয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, তার জন্য একদিন এই সরকারকে জনগণের সামনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বিশেষ করে যেসব বিচারক এই আদেশ দিয়েছেন তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। জনগণের সামনে জবাবদিহি করতে হবে।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মামুন হাসান, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, রুহুল আমিন আকিল, জাকির হোসেন নান্নু, গোলাম মোস্তফা সাগর, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হাসান স্বাধীন, সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন, গবেষণা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্তমান সরকার সংবিধান চোর, এদের ক্ষমা নেই : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান চুরি করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার ভোট চুরি করেছে। এর চেয়ে বড় হলো, তারা সংবিধান চোর। এদের কোনো ক্ষমা নাই।’ আমরা জীবন দিয়ে লড়াই করছি, পেছন ফিরে তাকানোর সময় নেই। আমাদের অনেক ভাই চলে গেছে, অনেক রক্ত ঝরেছে। আমাদের অনেক মা-বোনের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে; অনেক সন্তান পিতৃহারা হয়েছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক যুব-সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা লক্ষ্য করছেন যে ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি টিম এসেছিল। এই দলটি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কোনো প্রতিনিধি দল নয়। তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন দল। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই দলের থিংক ট্যাংক। তাদের পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ আছে কি না এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য বড় কোনো টিম পাঠাবে কি না তা দেখার জন্য। এটাই তাদের উদ্দেশ্য। তারা ৫ দিন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং নির্বাচন কমিশন সবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা যাওয়ার আগে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা ৫টি সুপারিশ করেছেন। সেখানে প্রধান কথা হচ্ছে- সংলাপ।

ফখরুল বলেন, সেটার জবাব দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন—আমরা তখনই আলোচনায় বসতে রাজি আছি যখন বিএনপি সমস্ত শর্ত বাদ দিয়ে আলোচনায় আসবে। সবার আগে আওয়ামী লীগের কাছে প্রশ্ন– আপনারা যে সরকারে বসে আছেন, সাংবিধানিকভাবে কি বৈধ? আমি প্রমাণ করছি যে আপনারা (সরকার) সাংবিধানিকভাবে বৈধ নন। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন। তার প্রমাণ যে রায়ের বদৌলতে, যেটা আপনারা দেখান, সেই রায়ে বিচারপতি খায়রুল হক বলেছেন, এটা প্রাসঙ্গিক নয়, তবে দেশের স্বার্থে আরও ২টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে। সেই রায় ১৬ মাস পরে পূর্ণাঙ্গ বের হয়েছিল যেটার সঙ্গে আগেরটার কোনো মিল ছিল না। রায় প্রকাশের আগেই আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে সংসদে আইন পাস করেছে।

তরুণদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলতে হবে— এই সরকার শুধু ভোট চোর নয়, তারা অবৈধ সরকার। সারা পৃথিবীকে জানাতে হবে তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। এজন্য আমরা বলেছি, আগে পদত্যাগ করুন, সংসদ বাতিল করুন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।

পুলিশের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জানি পুলিশের সবাই খারাপ কাজ করতে চায় না। বেআইনিভাবে কাজ করতে চায় না। এই আওয়ামী লীগ বাধ্য করছে বেআইনিভাবে, আইনের শাসনকে দূরে রেখে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করার জন্য।

খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জোর করে বন্দি করে রাখা হয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, তার জন্য একদিন এই সরকারকে জনগণের সামনে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বিশেষ করে যেসব বিচারক এই আদেশ দিয়েছেন তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। জনগণের সামনে জবাবদিহি করতে হবে।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মামুন হাসান, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, রুহুল আমিন আকিল, জাকির হোসেন নান্নু, গোলাম মোস্তফা সাগর, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হাসান স্বাধীন, সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন, গবেষণা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।