ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোন আম্পায়ার খেলা পরিচালনা করছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ, দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে পরিচিত সৈকত নামে।

দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করলেও, একদিনের বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। রাউন্ড রবিন লিগে মোট ৫টি খেলা পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। এরই মধ্যে ২টি খেলায় ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন শরফুদ্দৌলা সৈকত, কুড়িয়েছেন সুনাম।

এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনো ভক্তদের মন জয় করতে পারেননি। তিন খেলায় অংশ নিয়ে দু’টিতেই বড় ব্যবধানে হেরেছে দল। তাই বিশ্বকাপ ক্রিকেট মন ভরে উপভোগ করতে পারছেন না বাংলাদেশের সমর্থকরা। তবে ২২ গজে না খেললেও এবারের বিশ্বকাপে মাঠে আছেন আরেক বাংলাদেশি শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ, যিনি সৈকত নামেই পরিচিত। দক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে তিনি কিন্তু দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন।

১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে আইসিসি ট্রফিতে খেলেছেন সৈকত। খেলা ছাড়ার পরও মাঠ ছাড়েননি। আম্পায়ার হিসেবে ক্রিকেট মাঠেই আছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করে আসছেন।

এর আগে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, পুরুষ ও নারী অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে পুরুষদের একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এই প্রথম সুযোগ পেলেন ম্যাচ পরিচালনার।

এবারের আসরে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী খেলায় চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শরফুদ্দৌলা সৈকত। এরপর ৭ই অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা এবং সবশেষ ১৫ই অক্টোবর ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে সৈকত খেলা পরিচালনা করেন। আম্পায়ারিং নিয়ে বিশ্বকাপে এখনো কোন সমালোচনার মুখে পড়েননি সৈকত।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের রাউন্ড রবিন লিগে আরো তিনটি খেলা পরিচালনা করবেন সৈকত। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিও। সৈকতের পথ ধরে আগামীতে বাংলাদেশের অন্য আম্পায়াররাও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলা পরিচালনার সুযোগ পাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত

আপডেট সময় : ১০:১৮:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোন আম্পায়ার খেলা পরিচালনা করছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ, দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে পরিচিত সৈকত নামে।

দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করলেও, একদিনের বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। রাউন্ড রবিন লিগে মোট ৫টি খেলা পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। এরই মধ্যে ২টি খেলায় ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন শরফুদ্দৌলা সৈকত, কুড়িয়েছেন সুনাম।

এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনো ভক্তদের মন জয় করতে পারেননি। তিন খেলায় অংশ নিয়ে দু’টিতেই বড় ব্যবধানে হেরেছে দল। তাই বিশ্বকাপ ক্রিকেট মন ভরে উপভোগ করতে পারছেন না বাংলাদেশের সমর্থকরা। তবে ২২ গজে না খেললেও এবারের বিশ্বকাপে মাঠে আছেন আরেক বাংলাদেশি শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ, যিনি সৈকত নামেই পরিচিত। দক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে তিনি কিন্তু দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন।

১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে আইসিসি ট্রফিতে খেলেছেন সৈকত। খেলা ছাড়ার পরও মাঠ ছাড়েননি। আম্পায়ার হিসেবে ক্রিকেট মাঠেই আছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করে আসছেন।

এর আগে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, পুরুষ ও নারী অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে পুরুষদের একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এই প্রথম সুযোগ পেলেন ম্যাচ পরিচালনার।

এবারের আসরে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী খেলায় চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শরফুদ্দৌলা সৈকত। এরপর ৭ই অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা এবং সবশেষ ১৫ই অক্টোবর ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে সৈকত খেলা পরিচালনা করেন। আম্পায়ারিং নিয়ে বিশ্বকাপে এখনো কোন সমালোচনার মুখে পড়েননি সৈকত।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের রাউন্ড রবিন লিগে আরো তিনটি খেলা পরিচালনা করবেন সৈকত। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিও। সৈকতের পথ ধরে আগামীতে বাংলাদেশের অন্য আম্পায়াররাও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলা পরিচালনার সুযোগ পাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।