সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আর বেশি দেরি নেই। দেশ জুড়ে চলছে দেবী বন্দনার প্রস্তুতি। তুলির আঁচড়ে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত শিল্পীরা। প্রস্তুতি চলছে পূজার মণ্ডপ তৈরির। গেট, প্যান্ডেল এবং সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় কাটছে কারিগরদের।
শারদীয় দুর্গোৎসবের দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব উৎযাপনের প্রস্তুতি চলছে দেশজুড়ে। সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পূজা মণ্ডপ। কিছুদিন পরই ঢাক, শঙ্খ আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবিকে বরণ করে নেয়া হবে। সনাতন ধর্মালম্বীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠবে মন্দির ও মন্ডপ প্রাঙ্গণ।
সিলেটের সর্বত্র চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ক’দিন পরই পূজার জন্য প্রতিমা মন্দিরে স্থাপন করা হবে। কারিগররা বলছেন, প্রতিমা তৈরির ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
শারদীয় দুর্গোৎসব সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
সুনামগঞ্জে এবছর ৪২৬টি মণ্ডপে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা। সকল মন্দিরেই এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমা সাজিয়ে তুলছেন মৃৎশিল্পীরা।
দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানালেন আয়োজকরা।
মৌলভীবাজারেও চলছে দুর্গাপূজার ব্যাপক প্রস্তুতি। মন্দির ধোয়া-মোছা, সাজসজ্জা, তোরণ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে।
জেলার মন্দির ও মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি পূজা কমিটিও নিয়েছে নানা উদ্যোগ।
হবিগঞ্জে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। খড় আর মাটির মিশ্রণে দেবীর পূর্ণ অবয়ব তৈরি শেষে শুরু হয়েছে রং ও সজ্জার কাজ।
শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পূজা উদযাপনে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজক ও স্থানীয় প্রশাসন।
গত ১৪ই অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আবাহন জানানো হয়েছে। ২০শে অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।