ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় ঢুকতে প্রস্তুত শত শত ট্যাংক ও লাখো ইসরাইলি সেনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের গাজায় এবার জল-স্থল-আকাশপথে একযোগে ত্রিমুখী হামলার জন্য ইসরাইলের শত শত ট্যাংক ও লাখো সেনা প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে তারা শুধুমাত্র ‘রাজনৈতিক’ সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন ইসরাইলের গাজা দখল করা হবে সবচেয়ে বড় ভুল। তবে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই গাজায় প্রবেশ করবে তাদের সেনারা এবং গাজায় গিয়ে হামাসকে ধ্বংস করবে তারা।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) যুদ্ধের সম্মুখভাগে সেনাদের সঙ্গে দেখা করে এ কথা বলেন আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, গাজায় ইসরায়েলের দখলদারিত্ব হবে একটি ‘বড় ভুল’; হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের সবার প্রতিনিধিত্ব করে না’।

বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, তিনি হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে চান। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের হাসপাতালগুলোতে মাত্র ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার ফলে ব্যাকআপ জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে গাজার হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে ১১ লাখ ফিলিস্তিনি গাজার উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণ অংশে চলে গেছে। তবে দক্ষিণ অংশে এখনও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। খান ইউনিস ও রাফায় চালানো হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে চিকিৎসকদের বসতবাড়িও।

এদিকে গাজায় হাসপাতালগুলোতে নিহত ও আহতদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোববার জানিয়েছেন, ৯ হাজার ৬০০ আহত লোক চিকিৎসা নিচ্ছে সেখানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ঢুকতে প্রস্তুত শত শত ট্যাংক ও লাখো ইসরাইলি সেনা

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

ফিলিস্তিনের গাজায় এবার জল-স্থল-আকাশপথে একযোগে ত্রিমুখী হামলার জন্য ইসরাইলের শত শত ট্যাংক ও লাখো সেনা প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে তারা শুধুমাত্র ‘রাজনৈতিক’ সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন ইসরাইলের গাজা দখল করা হবে সবচেয়ে বড় ভুল। তবে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই গাজায় প্রবেশ করবে তাদের সেনারা এবং গাজায় গিয়ে হামাসকে ধ্বংস করবে তারা।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) যুদ্ধের সম্মুখভাগে সেনাদের সঙ্গে দেখা করে এ কথা বলেন আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, গাজায় ইসরায়েলের দখলদারিত্ব হবে একটি ‘বড় ভুল’; হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের সবার প্রতিনিধিত্ব করে না’।

বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, তিনি হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে চান। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের হাসপাতালগুলোতে মাত্র ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার ফলে ব্যাকআপ জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে গাজার হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে ১১ লাখ ফিলিস্তিনি গাজার উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণ অংশে চলে গেছে। তবে দক্ষিণ অংশে এখনও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। খান ইউনিস ও রাফায় চালানো হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে চিকিৎসকদের বসতবাড়িও।

এদিকে গাজায় হাসপাতালগুলোতে নিহত ও আহতদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোববার জানিয়েছেন, ৯ হাজার ৬০০ আহত লোক চিকিৎসা নিচ্ছে সেখানে।