ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খালেদা জিয়া : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার প্রধান অন্তরায় ক্ষমতাসীন সরকার উল্লেখ করে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিহিংসা মেটাতে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন দলের নেত্রী।

আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশবাসী জানে, একজন ব্যক্তির জীবন-মরণের বেদনার্ত করুণ সন্ধিক্ষণের কাহিনী। এই ব্যক্তিটি বিপুল জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। যিনি জীবনে কখনোই নির্বাচনে পরাজিত হননি, তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে আপসহীন সংগ্রামে। এই ব্যক্তির নিরন্তর সংগ্রাম ছিল অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের। তিনি দেশের অগ্রগতি ও প্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর আহ্বানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জনতা বুক চিতিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করতো না। তিনি দেশবাসীর শুভেচ্ছা, ভালবাসায় সমাদৃত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’

রিজভী বলেন, ‘সংগ্রামী মানুষ যে আবেগজনিত শক্তি অর্জন করেছে তার প্রেরণা বেগম খালেদা জিয়া। যিনি আজ স্বৈরশাহীর নিষ্ঠুর আচরণে জীবন-মৃত্যুর টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত। উন্নত চিকিৎসা বঞ্চিত দেশনেত্রীর শোচনীয় দুরাবস্থার জন্য একমাত্র দায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ ও স্থায়ী জামিনের বিষয়ে খ্যাতিমান চিকিৎসক ও আইনজীবীদের মতামতকে নিরেট অজ্ঞতাবশত নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিহিংসা মেটাতে অগ্রাহ্য করছেন প্রধানমন্ত্রী।’

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, “উন্নত চিকিৎসা থেকে দেশনেত্রীকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁকে পৃথিবী থেকে সরানো। ২০১৭ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। তিন মাস পর সেপ্টেম্বরে তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন তিনি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। এর কয়েক মাস পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে একটি মিথ্যা মামলার ফরমায়েশী রায়ে তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর দৃশ্য দেশবাসী সবাই ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে অবলোকন করেছে। দেশনেত্রী হেঁটেই কারাফটক পার হয়েছেন। তাহলে সোয়া দুই বছরে তিনি কেন এত গুরুতর অসুস্থ হলেন?”

রিজভী বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে সুস্থ অবস্থায় প্রবেশ করেন, তাহলে কি কারণে এত জটিল দুরারোগ্য ব্যাধিতে তিনি আক্রান্ত হলেন? বেগম জিয়ার রোগব্যাধির ভয়াবহতা এখন চরম পর্যায়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আথ্রাইটিসে আক্রান্ত। কারাগারে যাবার পরে যকৃতের রোগ (লিভার সিরোসিস) দেখা দিয়েছে। যে রোগের কারণে তাঁর হাইপারটেনশন, পেটে ও ফুসফুসে পানি আসা, অন্ত্রের রক্তরক্ষণ হচ্ছে—যার চিকিৎসা এদেশে আর সম্ভব নয় বলে মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নেই। তাঁর হৃদযন্ত্রের অবস্থাও অবনতির দিকে। ইতোমধ্যেই তাঁর হৃদপিন্ডে একটি রিং বসানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কিডনি রোগের জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে সবমিলিয়ে দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করেছে। বারবার তাঁকে সিসিইউ—তে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খালেদা জিয়া : রিজভী

আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার প্রধান অন্তরায় ক্ষমতাসীন সরকার উল্লেখ করে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিহিংসা মেটাতে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন দলের নেত্রী।

আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশবাসী জানে, একজন ব্যক্তির জীবন-মরণের বেদনার্ত করুণ সন্ধিক্ষণের কাহিনী। এই ব্যক্তিটি বিপুল জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। যিনি জীবনে কখনোই নির্বাচনে পরাজিত হননি, তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে আপসহীন সংগ্রামে। এই ব্যক্তির নিরন্তর সংগ্রাম ছিল অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের। তিনি দেশের অগ্রগতি ও প্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর আহ্বানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জনতা বুক চিতিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করতো না। তিনি দেশবাসীর শুভেচ্ছা, ভালবাসায় সমাদৃত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’

রিজভী বলেন, ‘সংগ্রামী মানুষ যে আবেগজনিত শক্তি অর্জন করেছে তার প্রেরণা বেগম খালেদা জিয়া। যিনি আজ স্বৈরশাহীর নিষ্ঠুর আচরণে জীবন-মৃত্যুর টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত। উন্নত চিকিৎসা বঞ্চিত দেশনেত্রীর শোচনীয় দুরাবস্থার জন্য একমাত্র দায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ ও স্থায়ী জামিনের বিষয়ে খ্যাতিমান চিকিৎসক ও আইনজীবীদের মতামতকে নিরেট অজ্ঞতাবশত নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিহিংসা মেটাতে অগ্রাহ্য করছেন প্রধানমন্ত্রী।’

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, “উন্নত চিকিৎসা থেকে দেশনেত্রীকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁকে পৃথিবী থেকে সরানো। ২০১৭ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। তিন মাস পর সেপ্টেম্বরে তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন তিনি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। এর কয়েক মাস পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে একটি মিথ্যা মামলার ফরমায়েশী রায়ে তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর দৃশ্য দেশবাসী সবাই ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে অবলোকন করেছে। দেশনেত্রী হেঁটেই কারাফটক পার হয়েছেন। তাহলে সোয়া দুই বছরে তিনি কেন এত গুরুতর অসুস্থ হলেন?”

রিজভী বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে সুস্থ অবস্থায় প্রবেশ করেন, তাহলে কি কারণে এত জটিল দুরারোগ্য ব্যাধিতে তিনি আক্রান্ত হলেন? বেগম জিয়ার রোগব্যাধির ভয়াবহতা এখন চরম পর্যায়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আথ্রাইটিসে আক্রান্ত। কারাগারে যাবার পরে যকৃতের রোগ (লিভার সিরোসিস) দেখা দিয়েছে। যে রোগের কারণে তাঁর হাইপারটেনশন, পেটে ও ফুসফুসে পানি আসা, অন্ত্রের রক্তরক্ষণ হচ্ছে—যার চিকিৎসা এদেশে আর সম্ভব নয় বলে মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নেই। তাঁর হৃদযন্ত্রের অবস্থাও অবনতির দিকে। ইতোমধ্যেই তাঁর হৃদপিন্ডে একটি রিং বসানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কিডনি রোগের জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে সবমিলিয়ে দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করেছে। বারবার তাঁকে সিসিইউ—তে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”