অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ এক হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। বিধ্বস্ত ভবনের নীচে চাপা পড়ে আছে হাজারো মানুষ। গাজার হাসপাতালগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। আহত মানুষের সংখ্যাটা এত বেশি যে তাদের সবাইকে হাসপাতালে রাখা যাচ্ছেনা। বিদ্যুৎ, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের চরম সংকট চলছে সেখানে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আরেকটি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন। হামলার পর প্রাথমিকভাবে প্রথমে ২৫ জনের ও পরে ৫৪ জনের নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১ জনে পৌঁছেছে।
গাজার একটি মেডিকেল সূত্র আল জাজিরা আরবিকে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের দক্ষিণ অংশের একটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। আর সেখানেই হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা রাতের আঁধারে গাজা উপত্যকায় হামাসকে লক্ষ্য করে ২০০ টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলেও ইসরায়েলের ভারী গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। আল জাজিরা বলছে, উত্তর গাজা উপত্যকার কিছু এলাকায় ইসরায়েলের ভারী গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া সোমবার রাত এবং মঙ্গলবার ভোরের দিকে ইসরায়েল যেসব বোমা হামলা চালিয়েছে তার বেশিরভাগই দক্ষিণ গাজাকে কেন্দ্র চালানো হয়।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, উত্তরগাজায় বোমায় বিধ্বস্ত চারটি হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়ার অবস্থায় নেই। এদিকে, উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলের সমর্থনে বুধবার তেলআবিব সফর করবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জোবাইডেন। যুদ্ধে ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও হামাসের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা বিষয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করবেন তিনি।
এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন এই সংঘাত বন্ধে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। চলমান সংঘাত ও উত্তেজনা কমানোর জন্য করণীয় পদক্ষেপ নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্টরি সেপতাইয়্যেপ এরদোয়ান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিমরাইসি।