ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের মাঝেই, আগামী কাল ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গাজা ও মিসরের রাফা সীমান্ত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যদিও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। গাজায় হামলা দীর্ঘ যুদ্ধে পরিণত হবে এবং এর চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত।
অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকলে অঞ্চলটির ইরানপন্থী বাহিনী রেসিটেন্স ফ্রন্ট প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পানি, জ্বালানি এবং চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে গাজার স্বাস্থ্যখাত ভেঙে পড়ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।
হামাস– ইসরায়েল সংঘাতের জেরে গাজার ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। মৌলিক স্বাস্থ্যসেবাটুকুও পাচ্ছেন না তাঁরা। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তহবিল (ইউএনএফপিএ) জানিয়েছে, গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য রীতিমত লড়াই করছেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নারী আগামী মাসেই সন্তান জন্ম দেবেন।
সন্তান জন্মদানের পর এসব নারীদের এবং নবজাতকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ গাজার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। এর মধ্যেই সেখানকার হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে যে পরিমাণ জ্বালানি আছে তাতে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মতো সেবা দেওয়া যাবে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর গত রোববার থেকে গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট ঘোষণা করেন, গাজাকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি অঞ্চলটিতে খাদ্য বা জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।