১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মুসলমানদের কেউ থামাতে পারবে না’

গাজায় একের পর এক বিমান হামলা করেই যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি স্থল হামলার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে। গাজায় স্থল হামলা হলে ফল ভালো হবে না বলে আগেই জানিয়ে রেখেছে ইরান। এবার দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকলে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় ও বাহিনীর মোকাবিলা করে কেউ থামাতে পারবে না।

চার দেশের বাধায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘে পাস না হওয়ার পরপরই এই মন্তব্য করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি টেলিভিশন চ্যানেলের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছেন বার্তা সংস্তা রয়টার্স।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যদি ইহুদিরা আরও হামলা চালায়। যদি গাজায় বোমা ফেলা বন্ধ না হয়। তাহলে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় ও বাহিনীকে মোকাবিলা করে থামিয়ে রাখা যাবে না।’

গাজায় এভাবে বোমা ফেলে নিরীহ মানুষদের হত্যা করার দায়ে ইহুদিদের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। রয়টার্স বলছে, বিভিন্ন সামরিক বাহিনী বলতে ইরানের অর্থায়নে মধ্যপ্রাচ্যে কার্যক্রম চালানো বিভিন্ন গোষ্ঠীর দিকেই ইঙ্গিত করেছেন খামেনি।

এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, যদি ইসরায়েল আগ্রাসন না থামায় তাহলে মনে রাখতে হবে, অঞ্চলের সব দলের হাত ট্রিগারে রাখা আছে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। গত ৭ অক্টোবর শুরু হয় এ যুদ্ধ।

এ যুদ্ধ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউই এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে না মর্মে গ্যারান্টি দিতে পারছেন না। সংঘাত বাড়ানো বন্ধ করতে হলে গাজার বাসিন্দাদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানও আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বড় আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহের সঙ্গে সংঘাতের পর এরই মধ্যে লেবাননের সীমান্তে ট্যাংক পাঠিয়েছে ইসরায়েল।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

‘মুসলমানদের কেউ থামাতে পারবে না’

আপডেট : ০২:১১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

গাজায় একের পর এক বিমান হামলা করেই যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি স্থল হামলার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে। গাজায় স্থল হামলা হলে ফল ভালো হবে না বলে আগেই জানিয়ে রেখেছে ইরান। এবার দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকলে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় ও বাহিনীর মোকাবিলা করে কেউ থামাতে পারবে না।

চার দেশের বাধায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘে পাস না হওয়ার পরপরই এই মন্তব্য করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি টেলিভিশন চ্যানেলের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছেন বার্তা সংস্তা রয়টার্স।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যদি ইহুদিরা আরও হামলা চালায়। যদি গাজায় বোমা ফেলা বন্ধ না হয়। তাহলে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় ও বাহিনীকে মোকাবিলা করে থামিয়ে রাখা যাবে না।’

গাজায় এভাবে বোমা ফেলে নিরীহ মানুষদের হত্যা করার দায়ে ইহুদিদের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। রয়টার্স বলছে, বিভিন্ন সামরিক বাহিনী বলতে ইরানের অর্থায়নে মধ্যপ্রাচ্যে কার্যক্রম চালানো বিভিন্ন গোষ্ঠীর দিকেই ইঙ্গিত করেছেন খামেনি।

এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, যদি ইসরায়েল আগ্রাসন না থামায় তাহলে মনে রাখতে হবে, অঞ্চলের সব দলের হাত ট্রিগারে রাখা আছে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। গত ৭ অক্টোবর শুরু হয় এ যুদ্ধ।

এ যুদ্ধ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউই এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে না মর্মে গ্যারান্টি দিতে পারছেন না। সংঘাত বাড়ানো বন্ধ করতে হলে গাজার বাসিন্দাদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানও আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বড় আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহের সঙ্গে সংঘাতের পর এরই মধ্যে লেবাননের সীমান্তে ট্যাংক পাঠিয়েছে ইসরায়েল।