Dhaka ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁকরোল চাষে সফল পিরোজপুরের চাষীরা

কাঁকরোল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন পিরোজপুরের চাষীরা। কম খরচে অন্যান্য সবজির চেয়ে বেশি উৎপাদন এবং বাজারে চাহিদা থাকায় লাভও হচ্ছে বেশি। তাই জেলার অনেক চাষীই এখন কাঁকরোল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

পিরোজপুর সদর উপজেলার রায়েরকাঠী গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল চলতি বছর চার বিঘা জমিতে কাঁকরোল চাষ করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বর্তমানে তার জমিতে মাসে প্রায় দেড়শ’ মণ কাঁকরোল উৎপাদন হচ্ছে। যা বাজারে বিক্রি করছেন ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায়। শুধু উজ্জ্বলই নয়, কম খরচে ভালো লাভ হওয়ায় জেলার অনেক চাষীই এখন কাঁকরোল চাষে ঝুঁকছেন।

কৃষকরা জানালেন, কাঁকরোল চাষে খরচ যেমন কম তেমনি পরিচর্যায়ও খুব বেশি পরিশ্রম হয় না। বাজারে সুস্বাদু এই সবজির চাহিদাও অনেক। তবে, সার ও ওষুধের দাম কমালে কাঁকরোল উৎপাদনে আরও লাভবান হওয়া যেতো বলে মনে করেন চাষীরা।

এদিকে, বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের কাঁকরোল চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও। ভবিষ্যতে এই জেলায় উৎপাদিত কাঁকরোল বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম সিকদার।

কৃষি বিভাগের হিসেবে এ বছর পিরোজপুরে ২১৬ হেক্টর জমিতে কাঁকরোল চাষ হয়েছে। যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৮শ’ মেট্রিক টন কাঁকরোল।

কাঁকরোল চাষে সফল পিরোজপুরের চাষীরা

আপডেট : ০৬:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

কাঁকরোল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন পিরোজপুরের চাষীরা। কম খরচে অন্যান্য সবজির চেয়ে বেশি উৎপাদন এবং বাজারে চাহিদা থাকায় লাভও হচ্ছে বেশি। তাই জেলার অনেক চাষীই এখন কাঁকরোল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

পিরোজপুর সদর উপজেলার রায়েরকাঠী গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল চলতি বছর চার বিঘা জমিতে কাঁকরোল চাষ করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বর্তমানে তার জমিতে মাসে প্রায় দেড়শ’ মণ কাঁকরোল উৎপাদন হচ্ছে। যা বাজারে বিক্রি করছেন ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায়। শুধু উজ্জ্বলই নয়, কম খরচে ভালো লাভ হওয়ায় জেলার অনেক চাষীই এখন কাঁকরোল চাষে ঝুঁকছেন।

কৃষকরা জানালেন, কাঁকরোল চাষে খরচ যেমন কম তেমনি পরিচর্যায়ও খুব বেশি পরিশ্রম হয় না। বাজারে সুস্বাদু এই সবজির চাহিদাও অনেক। তবে, সার ও ওষুধের দাম কমালে কাঁকরোল উৎপাদনে আরও লাভবান হওয়া যেতো বলে মনে করেন চাষীরা।

এদিকে, বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের কাঁকরোল চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও। ভবিষ্যতে এই জেলায় উৎপাদিত কাঁকরোল বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম সিকদার।

কৃষি বিভাগের হিসেবে এ বছর পিরোজপুরে ২১৬ হেক্টর জমিতে কাঁকরোল চাষ হয়েছে। যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৮শ’ মেট্রিক টন কাঁকরোল।