হত্যার রাজনীতি নির্মূলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই অব্যাহত থাকবে: কাদের
- আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪৯৫ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জিয়াউর রহমানের বিএনপির হত্যার রাজনীতি এখনো শেষ হয়নি। বাংলার মাটি থেকে হত্যার রাজনীতি নির্মূলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেলের জন্মদিনে, সকালে বনানীতে কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। শ্রদ্ধা জানানো হয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হচ্ছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনারের অধীনে। নির্বাচন সংবিধানের সব নিয়ম মেনেই হবে। সে নির্বাচনে কেউ যদি অংশ না নেয়, সেটার জন্য নির্বাচন আটকে থাকবে না। অনেকে অংশ নেবে। বহু দল অংশ নেবে। এক-দুইটা দল অংশ না নিলে নির্বাচনের কি হবে? নির্বাচন কি অবৈধ হয়ে যাবে? আপনি না আসলে আমি কি করব। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আপনার অধিকার। এটা কারো দয়া নয়। কেউ দয়া করে ত্রাণ বিতরণ করছে না। আপনার অধিকার আপনি প্রয়োগ করবেন। নিজের অধিকার যদি কেউ প্রয়োগ না করে, সেটার জন্য তো তারাই দায়ী।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ শেখ রাসেলের জন্মদিন। আজ আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করছি, আজকের এ দিবস রাসেল দিবস। একসঙ্গে সারা দেশে পালিত হচ্ছে। রাসেলের জন্মদিনে আনন্দের চাইতে তার নৃশংস মৃত্যুর বেদনাটাই মুখ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ১০ বছরের শিশু সন্তান শেখ রাসেল। পৃথিবীতে অসংখ্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে কিন্তু ১৫ আগস্টের মতো নৃশংসতা, নির্মমতার হত্যাকাণ্ড আর কোথাও হয়নি।
তিনি বলেন, ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যারা জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নতুন করে গ্রেপ্তারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ’৭৫ এ বাংলাদেশে খন্দকার মোশতাক এবং জেনারেল জিয়াউর রহমান যে হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন– ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের একুশে আগস্টে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা হয়। এই ষড়যন্ত্রের প্রধান কারণ ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। সেই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যারা বাংলাদেশের শুরু করেছিল, এখনো তারা সেই হীন রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ায়নি। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সেই ধারাবাহিকতা তারাই বহন করে চলছে, যারা জিয়াউর রহমান উত্তরসূরি। আজ জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বহন করছে।