বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আজ পেরুকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দুটি গোলই করেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। অবশ্য যেভাবে খেলছিলেন, হ্যাটট্রিক তো বটেই, অন্তত এক হালি গোলও করে ফেলতে পারতেন। যা হয়নি ভিএআর-এর প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তে আর পেরুর লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে।
পেরুর গোলকিপার পেদ্রো গালেসে খেলেন এমএলএসের ক্লাব অরলান্ডো সিটিতে, যে ক্লাবে ব্রাজিলের সাবেক তারকা কাকা খেলতেন আরকি। ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর গালেসের অরলান্ডো সিটির বিপক্ষে একবারই খেলতে নেমেছিলেন মেসি, সে ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন। গালেসের বিপক্ষে জোড়া গোল করলেন আজও। এই গোলকিপার ভাবতেই পারেন, লিগ ছেড়ে দেশের হয়ে খেলতে নেমেও মেসির কাছ থেকে নিস্তার পেলাম না!
ম্যাচের ৩২ মিনিটেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। নিজেদের রক্ষণভাগের ডান প্রান্তে আরেক ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেসের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে মাঝমাঠে পাঠিয়ে দেন মেসি, এনসো ফার্নান্দেসের কাছে। বল ‘ক্যারি’ করে সামনে গিয়ে বাঁয়ে থাকা উইঙ্গার নিকোলাস গন্সালেসকে পাস দেন চেলসির এই মিডফিল্ডার। ততক্ষণে মেসি ডিবক্সে চলে এসেছেন। মেসিকে আসতে দেখেই বক্সে বল পাঠান গন্সালেস। বাকিটা কি হয়েছে, বলা লাগবে না হয়তো!
দ্বিতীয় গোলটাও এসেছে পেরুর রক্ষণভাগের ডানদিকে চাপ প্রয়োগ করেই। বল নিয়ে বাঁদিকে চলে গিয়েছিলেন এনসো, বক্সের কোণায় থাকা হুলিয়ান আলভারেসকে বল পাস করলেও আলভারেস নিজে শট না নিয়ে পেছনে থাকা মেসির উদ্দেশ্যে বলটা ছেড়ে দেন। বাঁ পায়ের আরেকটি শটে মেসি পরাস্ত করেন গালেসেকে। কাগজে-কলমে এই গোলের সহায়তাকারীর জায়গায় এনসো ফার্নান্দেসের নাম থাকলেও যারা দেখেছেন, তাঁরা বলবেন, আলভারেসের ঐ ‘ডামি’ না হলে গোলটা হয়ই না।
৫৯ মিনিটে আবারও মেসির গোল, তবে এবার বাদ সাধে ভিএআর, প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তে অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় মেসির এই গোল। কিছুক্ষণ পরে আরও দুটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট আর পেরুর ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় ব্যবধান আর বাড়েনি।
চার ম্যাচের প্রত্যেকটায় জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা।