মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আল-আহলিল আরব নামের একটি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ঠিক পরদিন বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভোররাতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আরও অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি বসতিকে লক্ষ্য করে পৃথক বিমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষেপ করা বোমা জাবালিয়ার আল-কাসাইব এবং হালিমা আল-সাদিয়া এলাকায় আঘাত হেনেছে।
এছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বুধবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে দুইজন নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন বলে আল জাজিরা আরবি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, খান ইউনিসের হামাদ শহরের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে বোমাবর্ষণ করা হয়।
অন্যদিকে ইয়ারমুকেও ইসরায়েলি হামলার পর অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজাজুড়ে নতুন করে চালানো বোমা হামলায় ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। চিকিৎসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে কামান, বিমান ও সমুদ্র থেকে করা বোমাবর্ষণে বুধবার ভোরে ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সূত্রগুলো ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফাকে জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় বেশ কয়েকটি বাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানোর পর সেখানকার বাসিন্দারা নিহত হয়েছেন এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় নুসিরাত ক্যাম্পে বেকারি লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।
সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আনাদোলু বলছে, হামলার শিকার এই বেকারিটি শিবিরের লোকদের এবং গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুতদের রুটি সরবরাহ করত। এছাড়া দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে বোমা হামলায় এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন বলেও তারা জানিয়েছেন।
বার্তসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চল, রাফাহ এবং খান ইউনিসের বিভিন্ন এলাকায় বেসামরিক লোকদের বাড়িঘরেও বোমা হামলা হয়েছে, এতে বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।