গাজা যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ঘোষণা ইরাকি প্রতিরোধ ফ্রন্টের
- আপডেট সময় : ১০:২৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
এবার ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে মার্কিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলছে ইসরায়েল-হামাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ইসরায়েলি সৈন্যরা বার বার গাজার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুদ্ধাপরাধ করলেও তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা।
গতকাল সিরিয়া ও ইরাকে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাটিতে অন্তত তিনটি রকেট ও ড্রোন হামলা হয়েছে। এই ঘটনাগুলোর দায় স্বীকার করে ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা এবং এই বর্বরতার প্রতি মার্কিন সমর্থনের প্রতিবাদে এই হামলা করেছে তারা। এর মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে নিজেদের সরাসরি অংশগ্রহণ শুরু হলো বলেও দাবি করেছে ইরাকের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা বৃহস্পতিবার তিনটি ড্রোনের সাহায্যে সিরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আল-তানাফ ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এটি সিরিয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। এছাড়া আল-আনবার প্রদেশের আইন আল আসাদ সামরিক ঘাঁটি এবং উত্তরাঞ্চলীয় ‘আল হারির’ সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও তারা স্বীকার করে।
ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট কয়েকদিন ধরেই এই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলো যে, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধ না হলে তারাও এই যুদ্ধে নিজেদেরকে জড়াবে।
এদিকে মার্কিন সেনা ঘাটিকে লক্ষ্যবস্তু করে ড্রোন ও রকেট হামলা হচ্ছে জানিয়ে পেন্টাগন বলছে, ২৪ ঘণ্টায় ৩টি হামলা হলেও এসব ঘটনায় কিছু সেনার আহত হওয়া ছাড়া বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। এছাড়া মার্কিন সৈন্যরা একটি সশস্ত্র ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে দাবি করা হয়।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) এক ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, গতকাল ভোরে সিরিয়ার আল-তানফ গ্যারিসনে দুটি ড্রোন হামলা হয়েছিলো। মার্কিন এবং জোট বাহিনীর নিযুক্ত একটি ড্রোন এটি ধ্বংস করে। কিন্তু ততক্ষণে ড্রোনটি ঘাঁটিতে আঘাত করে। এতে জোট বাহিনীর কয়েক সেনা আহত হয়। এছাড়াও একই সকালে ইরাকে অগ্রীম সতর্কতা ব্যবস্থাগুলি আল-আসাদের বিমানঘাঁটির কাছে সম্ভাব্য হুমকির ইঙ্গিত দেয়। এর প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সেখানকার কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো৷ যদিও কোনও আক্রমণ ঘটেনি। দুঃখজনকভাবে, আশ্রয় দেওয়ার সময় একজন মার্কিন বেসামরিক ঠিকাদার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরাকে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই হাজার সৈন্য রয়েছে এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় রয়েছে ৯০০ মার্কিন সৈন্য।