০১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে বাড়ছে পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার: আমেরিকা

চীন গত এক বছরে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে বলে দাবি আমেরিকার। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

পেন্টাগনের ওই বার্ষিক প্রতিবেদনে চীনের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বেইজিংয়ের কাছে ৫০০ ওয়ারহেড আছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই অস্ত্রাগার দ্বিগুণ করে ১০০০ ওয়ারহেড করার পরিকল্পনা দেশটির।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীনের অস্ত্রভাণ্ডার যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা আগের অনুমানকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে বেইজিংয়ের মজুদ থাকা অস্ত্র এখনও রাশিয়া এবং আমেরিকার তুলনায় কম। তা ছাড়া চীন নো-ফার্স্ট স্ট্রাইক অর্থাৎ আগে হামলা না করার নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার কাছে প্রায় ৫ হাজার ৮৮৯টি ওয়ারহেডের পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে, আর আমেরিকার আছে ৫ হাজার ২৪৪টি। এর আগে ২০২১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ অনুমান করেছিল, চীনের কাছে প্রায় ৪০০ পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।

পেন্টাগনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেইজিং ২০২২ সালে অন্তত তিনটি নতুন ক্লাস্টার মিসাইল সাইট নির্মাণ শেষ করেছে। এর মধ্যে অন্তত ৩০০টি নতুন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) রয়েছে বলে জানান মার্কিন কর্মকর্তারা।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, চীন ২০৪৯ সালের মধ্যে একটি বিশ্বমানের সামরিক বাহিনী তৈরি করবে। ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি দেশের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন।

চীনে বাড়ছে পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার: আমেরিকা

আপডেট : ০৬:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

চীন গত এক বছরে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে বলে দাবি আমেরিকার। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

পেন্টাগনের ওই বার্ষিক প্রতিবেদনে চীনের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বেইজিংয়ের কাছে ৫০০ ওয়ারহেড আছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই অস্ত্রাগার দ্বিগুণ করে ১০০০ ওয়ারহেড করার পরিকল্পনা দেশটির।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীনের অস্ত্রভাণ্ডার যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা আগের অনুমানকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে বেইজিংয়ের মজুদ থাকা অস্ত্র এখনও রাশিয়া এবং আমেরিকার তুলনায় কম। তা ছাড়া চীন নো-ফার্স্ট স্ট্রাইক অর্থাৎ আগে হামলা না করার নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার কাছে প্রায় ৫ হাজার ৮৮৯টি ওয়ারহেডের পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে, আর আমেরিকার আছে ৫ হাজার ২৪৪টি। এর আগে ২০২১ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ অনুমান করেছিল, চীনের কাছে প্রায় ৪০০ পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।

পেন্টাগনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেইজিং ২০২২ সালে অন্তত তিনটি নতুন ক্লাস্টার মিসাইল সাইট নির্মাণ শেষ করেছে। এর মধ্যে অন্তত ৩০০টি নতুন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) রয়েছে বলে জানান মার্কিন কর্মকর্তারা।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, চীন ২০৪৯ সালের মধ্যে একটি বিশ্বমানের সামরিক বাহিনী তৈরি করবে। ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি দেশের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন।