ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পোশাক রপ্তানিতে আয় ৩৫.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৫ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত বছর প্রথম ৯ মাসে আয় হয়েছিল ৩২ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

ইপিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ১৭ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বাজার জার্মানিতে ক্রমাগত কমছে রপ্তানির হার। চলতি বছরের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১২ দশমিক পাঁচ-আট শতাংশ। অর্থাৎ ৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইইউ অঞ্চলের অন্যান্য যেসব বাজারগুলোতে রপ্তানি কমেছে তা হচ্ছে- লিথুয়ানিয়া, মাল্টা, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং স্লোভেনিয়া। তবে ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালিতে রপ্তানি যথাক্রমে ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ, ২০ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ২৭ দশমিক ০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা যথাক্রমে ২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ডেনমার্কে রপ্তানি ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। একই সময়ের মধ্যে, লাটভিয়া, রোমানিয়া, ফিনল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়ার মতো দেশগুলো শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরে ৬ দশমিক৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২৩ সালের একই সময়ে ৬ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, গত নয় মাসে যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ ও কানাডায় ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় পোশাক রপ্তানি যথাক্রমে ৪ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

গতানুগতিক বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে ৫ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা বছরে ৪৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় ৫৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ভারতে ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চীন এবং তুরস্কের মতো অন্যান্য অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি যথাক্রমে, ৪৬ দশমিক ৩২ শতাংশ ,৩৫ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।

একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার, যা মোট রপ্তানির ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ইইউ তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রায় ৪৯ দশমিক ২২ শতাংশ ধরে রেখেছে। যুক্তরাজ্য এবং কানাডার ক্ষেত্রে মোট পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ১৬ শতাংশে এ পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে অ-প্রচলিত বাজারের অংশ মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল। অপ্রচলিত বাজারের অংশ বৃদ্ধি অবশ্যই পোশাক শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির স্বপ্ন দেখে আগামী দিনগুলোতেও বাজারের বৈচিত্র্য অব্যাহত রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পোশাক রপ্তানিতে আয় ৩৫.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আপডেট সময় : ০৪:০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৫ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত বছর প্রথম ৯ মাসে আয় হয়েছিল ৩২ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

ইপিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ১৭ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বাজার জার্মানিতে ক্রমাগত কমছে রপ্তানির হার। চলতি বছরের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১২ দশমিক পাঁচ-আট শতাংশ। অর্থাৎ ৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইইউ অঞ্চলের অন্যান্য যেসব বাজারগুলোতে রপ্তানি কমেছে তা হচ্ছে- লিথুয়ানিয়া, মাল্টা, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং স্লোভেনিয়া। তবে ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালিতে রপ্তানি যথাক্রমে ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ, ২০ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ২৭ দশমিক ০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা যথাক্রমে ২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ডেনমার্কে রপ্তানি ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। একই সময়ের মধ্যে, লাটভিয়া, রোমানিয়া, ফিনল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়ার মতো দেশগুলো শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরে ৬ দশমিক৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২৩ সালের একই সময়ে ৬ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, গত নয় মাসে যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ ও কানাডায় ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় পোশাক রপ্তানি যথাক্রমে ৪ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

গতানুগতিক বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে ৫ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা বছরে ৪৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় ৫৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ভারতে ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চীন এবং তুরস্কের মতো অন্যান্য অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি যথাক্রমে, ৪৬ দশমিক ৩২ শতাংশ ,৩৫ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।

একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার, যা মোট রপ্তানির ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ইইউ তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রায় ৪৯ দশমিক ২২ শতাংশ ধরে রেখেছে। যুক্তরাজ্য এবং কানাডার ক্ষেত্রে মোট পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ১৬ শতাংশে এ পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে অ-প্রচলিত বাজারের অংশ মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল। অপ্রচলিত বাজারের অংশ বৃদ্ধি অবশ্যই পোশাক শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির স্বপ্ন দেখে আগামী দিনগুলোতেও বাজারের বৈচিত্র্য অব্যাহত রাখতে হবে।