০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • ৭৬ দেখেছেন

চলতি বিশ্বকাপে রান তাড়ায় নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড ৩৪৫ রান তাড়া করে জিতেছে দলটি। সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে যাওয়ার। তবে, মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেটা হয়নি। বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় হারের দেখা পেল বাবর আজমের দল।

আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৬৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪৫.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রানে থামে পাকিস্তান। ৬২ রানের জয় পায় কামিন্সের দল।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ডেভিট ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করে আস্ট্রেলিয়া। জাবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ দশমিক তিন বোলে ৩০৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।

এম চিন্নাসোয়ামি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খেলার শুরু থেকে পাকিস্তানী বোলারদের উপর তান্ডব চালাতে থাকেন দুই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। একবার জীবন পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটের শাসনে পাকিস্তানী ফিল্ডাররা সীমানার বাইরে বল কুড়াতেই ব্যস্ত ছিলেন। উইকেটের চারপাশেই রানের ফোয়ারা ফোটাতে থাকে এই জুটি।

পাকিস্তানী বোলারদের সাধারণ কাতারে নামিয়ে ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ পান সেঞ্চুরি। এবারের বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পান ওয়ার্নার। তার সাথে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তানী বোলারদের শাসন করে সেঞ্চুরি তুলে নেন মিচেল মার্শ। উদ্বোধনী জুটিতে এই দু’জন যোগ করেন ২৫৯ রান। মিচেল মার্শ ১২১ রানে আউট হন। আর ওয়ার্নারকে ব্যক্তিগত ১৬৩ রানে থামান হারিছ রউফ। উড়ন্ত সূচনার পরও অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তাতে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান তোলে অজিরা। পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি পান ৫ উইকেট।

পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় পাকিস্তানেরও। দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমামুল হকের জোড়া ফিফটিতে ১৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে পাকিস্তান। শফিকে ব্যাক্তিগত ৬৪ ও ইমামুল হককে ৭০ রানে আউট করেন মার্কাস স্টয়নিস।এরপর অধিনায়ক বাবর আজম ১৮ রানে আউট হলে দলে দ্বায়ীত্ব নেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রিজওয়ান ও শাকিল। এই দুই ব্যাটসম্যান চাপ সামাল দিয়ে দেখে শুনে খেলতে থাকেন। শাকিলকে ৩০ রানে আউট করেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

ইফতেখার আহমেদকে সাথে নিয়ে রান রেটের সাথে পালা­ দিয়ে রান করে যাচ্ছিলেন রিজওয়ান। তবে, অ্যাডাম্প জাম্পার বিধ্বংসী বোলিয়ের সামনে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় এই দুই ব্যাটসম্যানকে। মোহাম্মোদ রিজওয়ান ৪৬ রানে আউট হলে জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা শুধু পরাজয়ের ব্যাবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৪৫ দশমিক তিন বোলে ৩০৫ রান অলআউট হয় পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ৩৬৭/৯ (ওয়ার্নার ১৬৩, মার্শ ১২১, ম্যাক্সওয়েল ০, স্মিথ ৭, স্টোয়নিস ২১, ইঙ্গলিশ ১৩, লাবুশেন ৮, কামিন্স ৬, স্টার্ক ২, হ্যাজেলউড ০, জাম্পা ; আফ্রিদি ১০-১-৫৪-৫, হাসান ৮-০-৫৭-০, ইফতিখার ৮-০-৩৭-০, রউফ ৮-০-৮৩-৩, মির ৯-০-৮২-১, নেওয়াজ ৭-০-৪৩-০)

পাকিস্তান : ৪৫.৩ ওভারে ৩০৫/১০ (শফিক ৬৪, ইমাম ৭০, বাবর ১৮, রিজওয়ান ৪৬, শাকিল ৩০, ইফতিখার ২৬, নেওয়াজ ১৪, মির ০, আফ্রিদি ১০, হাসান ৮, হারিস ০; স্টার্ক ৮-০-৬৫-১, হ্যাজেলউড ১০-১-৩৭-১, কামিন্স ৭.৩-০-৬২-২, জাম্পা ১০-০-৫৩-৪, ম্যাক্সওয়েল ৫-০-৪০-০, স্টোয়নিস ৫-০-৪০-২)

ফলাফল : অস্ট্রেলিয়া ৬২ রানে জয়ী।

পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া

আপডেট : ০৫:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

চলতি বিশ্বকাপে রান তাড়ায় নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড ৩৪৫ রান তাড়া করে জিতেছে দলটি। সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে যাওয়ার। তবে, মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেটা হয়নি। বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় হারের দেখা পেল বাবর আজমের দল।

আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৬৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪৫.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রানে থামে পাকিস্তান। ৬২ রানের জয় পায় কামিন্সের দল।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ডেভিট ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করে আস্ট্রেলিয়া। জাবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ দশমিক তিন বোলে ৩০৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।

এম চিন্নাসোয়ামি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খেলার শুরু থেকে পাকিস্তানী বোলারদের উপর তান্ডব চালাতে থাকেন দুই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। একবার জীবন পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটের শাসনে পাকিস্তানী ফিল্ডাররা সীমানার বাইরে বল কুড়াতেই ব্যস্ত ছিলেন। উইকেটের চারপাশেই রানের ফোয়ারা ফোটাতে থাকে এই জুটি।

পাকিস্তানী বোলারদের সাধারণ কাতারে নামিয়ে ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ পান সেঞ্চুরি। এবারের বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পান ওয়ার্নার। তার সাথে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তানী বোলারদের শাসন করে সেঞ্চুরি তুলে নেন মিচেল মার্শ। উদ্বোধনী জুটিতে এই দু’জন যোগ করেন ২৫৯ রান। মিচেল মার্শ ১২১ রানে আউট হন। আর ওয়ার্নারকে ব্যক্তিগত ১৬৩ রানে থামান হারিছ রউফ। উড়ন্ত সূচনার পরও অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তাতে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান তোলে অজিরা। পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি পান ৫ উইকেট।

পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় পাকিস্তানেরও। দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমামুল হকের জোড়া ফিফটিতে ১৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে পাকিস্তান। শফিকে ব্যাক্তিগত ৬৪ ও ইমামুল হককে ৭০ রানে আউট করেন মার্কাস স্টয়নিস।এরপর অধিনায়ক বাবর আজম ১৮ রানে আউট হলে দলে দ্বায়ীত্ব নেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রিজওয়ান ও শাকিল। এই দুই ব্যাটসম্যান চাপ সামাল দিয়ে দেখে শুনে খেলতে থাকেন। শাকিলকে ৩০ রানে আউট করেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

ইফতেখার আহমেদকে সাথে নিয়ে রান রেটের সাথে পালা­ দিয়ে রান করে যাচ্ছিলেন রিজওয়ান। তবে, অ্যাডাম্প জাম্পার বিধ্বংসী বোলিয়ের সামনে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় এই দুই ব্যাটসম্যানকে। মোহাম্মোদ রিজওয়ান ৪৬ রানে আউট হলে জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা শুধু পরাজয়ের ব্যাবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৪৫ দশমিক তিন বোলে ৩০৫ রান অলআউট হয় পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ৩৬৭/৯ (ওয়ার্নার ১৬৩, মার্শ ১২১, ম্যাক্সওয়েল ০, স্মিথ ৭, স্টোয়নিস ২১, ইঙ্গলিশ ১৩, লাবুশেন ৮, কামিন্স ৬, স্টার্ক ২, হ্যাজেলউড ০, জাম্পা ; আফ্রিদি ১০-১-৫৪-৫, হাসান ৮-০-৫৭-০, ইফতিখার ৮-০-৩৭-০, রউফ ৮-০-৮৩-৩, মির ৯-০-৮২-১, নেওয়াজ ৭-০-৪৩-০)

পাকিস্তান : ৪৫.৩ ওভারে ৩০৫/১০ (শফিক ৬৪, ইমাম ৭০, বাবর ১৮, রিজওয়ান ৪৬, শাকিল ৩০, ইফতিখার ২৬, নেওয়াজ ১৪, মির ০, আফ্রিদি ১০, হাসান ৮, হারিস ০; স্টার্ক ৮-০-৬৫-১, হ্যাজেলউড ১০-১-৩৭-১, কামিন্স ৭.৩-০-৬২-২, জাম্পা ১০-০-৫৩-৪, ম্যাক্সওয়েল ৫-০-৪০-০, স্টোয়নিস ৫-০-৪০-২)

ফলাফল : অস্ট্রেলিয়া ৬২ রানে জয়ী।