বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আমেরিকা এমন ভাব করছে, তারাই যেন গণতন্ত্রের ধারক-বাহক। বর্তমান রাষ্ট্রপতির এক ছেলেকে দুর্নীতির দায়ে জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হতে হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা এমন ভাব করছে, মনে হচ্ছে তারা যেন একেবারেই পবিত্র। মার্কিন দূতাবাস যেন কোনো রাজনৈতিক দলের অফিস। সেখান থেকেই মনে হয় (নির্দেশ) আসে কোথায় কী করবে। আমাদের উপরে স্যাংশনস দেওয়া হয়েছে এবং ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। সুতরাং প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিদেশি শক্তির যে তৎপরতা তা পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। আমেরিকা তাদের নিজের দেশের নির্বাচন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। ফ্রান্সের নির্বাচন নিয়ে একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে মামলার দারস্থ করছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্রী পার্টি আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, আমেরিকা এমন ভাব করছে, তারাই যেন গণতন্ত্রের ধারক-বাহক। মার্কিন দূতাবাস যেন কোনো রাজনৈতিক দলের অফিস। সেখান থেকেই মনে হয় (নির্দেশ) আসে কোথায় কী করবে। আমাদের উপরে স্যাংশনস দেয়া হয়েছে এবং ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। সুতরাং প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, কয়েকদিন আগে ইসলামী ছাত্রশিবির বিশাল যে মিছিল করেছে সেখানে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কিংবা ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি। আপনারা দেখতে পাবেন ফিলিস্তিন ইস্যুতে জামায়াত কিংবা বিএনপি একটি বিবৃতিও দেয়নি। অথচ তারাই ইসলামের ধারক-বাহক দাবি করে। এগুলো সম্ভব হয়েছে দেশের প্রগতিশীল শক্তির বিলুপ্তির কারণে।
গণতন্ত্রী পার্টির নির্বাহী সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউল করিম খান প্রমুখ।