এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথম জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ভারতের লখনৌতে নিজেদের চতুর্থ খেলায় শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে। একানা স্টেডিয়ামে, আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান তোলে ডাচরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে নেদারল্যান্ডস। আগের খেলায় শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমক দেয়া নেদারল্যান্ডসের ব্যাটসম্যানরা এদিন সুবিধা করতে পারেনি। শুরু থেকেই লঙ্কানরা খেলায় আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। ৬৮ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান বিদায় নিলে চাপে পড়ে ডাচ দল।
তবে সাইব্র্যান্ডের হাফ সেঞ্চুরিতে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে নেদারল্যান্ডস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে, সাদিরা সামারাবিক্রমা ও পাথুম নিশাঙ্কার জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৮ ওভার ২ বলে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। সামারাবিক্রমা ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন।
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচটা খারাপ কাটলেও ধীরে ধীরে নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছেন পাথুম নিশাঙ্কা। আগের দুই ম্যাচের মত এই ম্যাচেও পেয়েছেন ফিফটি। যদিও তার সঙ্গী কুশাল পেরেরার শুরুটা ভাল হয়নি। ব্যক্তিগত ৫ আর দলীয় ১৮ রানেই থেমেছে তার রানের চাকা। দাসুন শানাকার ইনজুরির কারণে কুশাল মেন্ডিস এসেছেন অধিনায়কের দায়িত্বে। তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন বড় ইনিংস করতে। ১৭ বলে করেছেন ১১ রান। দুজনেই ফিরেছেন আরিয়ান দত্তের বলে। পাওারপ্লের আগেই নেই দুই উইকেট।
ইনিংস মেরামতের কাজটা করেছেন নিশাঙ্কা এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুজনে ধীরগতির ইনিংস খেললেও উইকেট হারাতে দেননি। এরইমাঝে ফিফটি পেয়েছেন নিশাঙ্কা। এটি তার টানা তৃতীয় ফিফটি। যদিও আগের দুইবারের মত এবারেও ইনিংস বড় করা হয়নি। ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে পল ভ্যান মিকেরেনের বলে ফিরে যান সাজঘরে।
জয় তখনও দূরের বাতিঘর লঙ্কানদের জন্য। সামারাবিক্রমার সঙ্গে যোগ দিলেন চারিথ আসালাঙ্কা। এই জুটিই মূলত ডাচদের ছিটকে দিয়েছিল ম্যাচ থেকে। ৩৩তম ওভারে আরিয়ান দত্ত আবার আঘাত করলেন। এবার তার শিকার আসালাঙ্কা। ৬৬ বলে ৪৪ রান করে ফিরে যান এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার।
আসালাঙ্কা ফিরে গেলেও সামারাবিক্রমা ঠিকই ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে আরও একটি বড় জুটি করেছিলেন। ধনাঞ্জয়া যখন ফিরে যান, ম্যাচ তখন একেবারেই লঙ্কানদের হাতের মুঠোয়। ম্যাচটা শেষ করতে সময় নিলেও শেষ পর্যন্ত জয় দিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
এর আগে ৪৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬২ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল ডাচরা। লঙ্গানদের পক্ষে সফল বোলার ছিলেন রাজিথা এবং মাদুশাঙ্কা। দুই পেসারই পেয়েছেন ৪টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নেদারল্যান্ডস : ৪৯.৪ ওভারে ২৬২/১০ (বিক্রমজিৎ ৪, ম্যাক্স ১৬, অ্যাকারম্যান ২৯, লিড ৬, তেজা ৯, স্কট ১৬, সাইব্র্যান্ড ৭০, লোগান ৫৯, মারউই ৭, আরিয়ান ৯, মিকিরেন ৪; মধুশঙ্কা ৯.৪-১-৪৯-৪, রাজিথা ৯-০-৫০-৪, করুনারত্নে ৯-১-৫৮-০, থিকসানা ১০-০-৪৪-১, দুশান ৮-০-৪২-০, সিলভা ৪-০-১৩-০)
শ্রীলঙ্কা : ৪৮.২ ওভারে ২৬৩/৫ (নিশানকা ৫৪, পেরেরা ৫, মেন্ডিস ১১, সামারাবিক্রমা ৯১, আসালাঙ্কা ৪৪, সিলভা ৩০, দুশান ৪; ডাট ১০-০-৪৪-৩, লোগান ১০-০-৫৭-০, মিকিরেন ৮-১-৩৯-১, লিড ৩-০-২৯-০, মারউই ৯-০-৪২-০, কলিন ৮.২-০-৩৯-১)
ফলাফল : শ্রীলঙ্কা পাঁচ উইকেটে জয়ী।