০৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্লাসেন ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৪:১২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
  • ৬৯ দেখেছেন

৪০ বলে প্রথম ফিফটি করেছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন। আধুনিক ওয়ানডেতে এটাকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক বলার সুযোগ নেই! তবে পরের ৫০ রান করতে তিনি খরচ করেছেন মাত্র ২১ বল। সবমিলিয়ে ৬১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়ে প্রোটিয়ারা। সেই রান পাহাড়ে চাপা পড়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা!

শনিবার (২১ অক্টোবর) ওয়াংখেড়েতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৯ রান এসেছে ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। জবাবে ২২ ওভারে ১৭০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৩ রান এসেছে মার্ক উডের ব্যাট থেকে।

৪০০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও তা ধরে রাখতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলীয় ১৮ রানে ওপেনার বেয়ারস্টোর বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় তারা। এরপর আর কোনো ব্যাটারই পারেননি নামের প্রতি সুবিচার করতে। শেষদিকে লোয়ার অর্ডারে মার্ক উডের ৪৩ ও অ্যাটকিনসনের ৩৫ রান ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো রানই করতে পারেনি কোনো ইংলিশ ব্যাটার।

অসুস্থতার কারণে এই ম্যাচে ছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তার পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন এডেন মার্করাম। বাভুমা না থাকায় ওপেনিংয়ে শুরুটাও ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় চার রানের মাথায় ফেরেন কুইন্টন ডি কক। রিচ টপলির বলে বাটলারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ব্যাট হাতে দুই বলে মাত্র চার রান করেন ডি কক।

দ্রুত উইকেট হারালেও চাপে পড়েনি প্রোটিয়ারা। ডুসেনকে নিয়ে হেনরিকস গড়েন ১২১ রানের দারুণ এক জুটি। মূলত এই জুটিতেই বড় স্কোর গড়ার ভিত পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে, দলীয় ১২৫ রানের মাথায় ডুসেনের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ৬১ বলে ৬০ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

এরপর দলীয় ১৬৪ রানে তৃতীয় সাফল্য পায় ইংলিশরা। এবার আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন হেনরিকস। ৭৫ বলে ৮৫ করে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর মার্করামকে নিয়ে জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেন। এই জুটিতে আসে ৬৯ রান। এরপর দলীয় ২৩৩ রানে টপলির বলে তুলে মারতে গিয়ে বেয়ারস্টোর হাতে ধড়া পরেন মার্করাম। ৪৪ বলে ৪২ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মার্করামের পর আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার ডেভিড মিলারের বিদায় নিতেও সময় লাগেনি। দলীয় ২৪৩ রানে টপলির বলে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ছয় বলে পাঁচ রান করেন তিনি। মিলারের বিদায়ের পর জেনসেনকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করেন ক্লাসেন। দলীয় ৩৯৮ রানে বিদায় নেওয়ার আগে খেলেন ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ৩৯৯/৭ (ডি কক ৪, হেনরিকস ৮৫, ডুসেন ৬০, মার্করাম ৪২, ক্লাসেন ১০৯, মিলার ৫, জেনসেন ৭৫, জেরাল্ড ৩, মহারাজ ১ ; টপলি ৮.৫-০-৮৮-৩, উইলি ৯-১-৬১-০, রুট ৬.১-০-৪৮-০, অ্যাটকিনসন ৯-০-৬০-২, উড ৭-০-৭৬-০, রশিদ ১০-০-৬১-২)

ইংল্যান্ড : ২২ ওভারে ১৭০/১০ (বেয়ারস্টো ১০, মালান ৬, রুট ২, স্টোকস ৫, ব্রুক ১৭, বাটলার ১৫, উইলি ১২, রশিদ ১০, অ্যাটকিনসন ৩৫, উড ৪৩, টপলি ০; এনগিদি ৫-১-২৬-২, জেনসেন ৫-০-৩৫-২, রাবাদা ৬-১-৩৮-১, কোয়েটজে ৪-০-৩৫-৩, মহারাজ ২-০-২৭-১)

ফলাফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৯ রানে জয়ী।

ক্লাসেন ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড

আপডেট : ০৪:১২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

৪০ বলে প্রথম ফিফটি করেছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন। আধুনিক ওয়ানডেতে এটাকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক বলার সুযোগ নেই! তবে পরের ৫০ রান করতে তিনি খরচ করেছেন মাত্র ২১ বল। সবমিলিয়ে ৬১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়ে প্রোটিয়ারা। সেই রান পাহাড়ে চাপা পড়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা!

শনিবার (২১ অক্টোবর) ওয়াংখেড়েতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৯ রান এসেছে ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। জবাবে ২২ ওভারে ১৭০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৩ রান এসেছে মার্ক উডের ব্যাট থেকে।

৪০০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও তা ধরে রাখতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলীয় ১৮ রানে ওপেনার বেয়ারস্টোর বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় তারা। এরপর আর কোনো ব্যাটারই পারেননি নামের প্রতি সুবিচার করতে। শেষদিকে লোয়ার অর্ডারে মার্ক উডের ৪৩ ও অ্যাটকিনসনের ৩৫ রান ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো রানই করতে পারেনি কোনো ইংলিশ ব্যাটার।

অসুস্থতার কারণে এই ম্যাচে ছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তার পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন এডেন মার্করাম। বাভুমা না থাকায় ওপেনিংয়ে শুরুটাও ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় চার রানের মাথায় ফেরেন কুইন্টন ডি কক। রিচ টপলির বলে বাটলারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ব্যাট হাতে দুই বলে মাত্র চার রান করেন ডি কক।

দ্রুত উইকেট হারালেও চাপে পড়েনি প্রোটিয়ারা। ডুসেনকে নিয়ে হেনরিকস গড়েন ১২১ রানের দারুণ এক জুটি। মূলত এই জুটিতেই বড় স্কোর গড়ার ভিত পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে, দলীয় ১২৫ রানের মাথায় ডুসেনের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ৬১ বলে ৬০ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

এরপর দলীয় ১৬৪ রানে তৃতীয় সাফল্য পায় ইংলিশরা। এবার আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন হেনরিকস। ৭৫ বলে ৮৫ করে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর মার্করামকে নিয়ে জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেন। এই জুটিতে আসে ৬৯ রান। এরপর দলীয় ২৩৩ রানে টপলির বলে তুলে মারতে গিয়ে বেয়ারস্টোর হাতে ধড়া পরেন মার্করাম। ৪৪ বলে ৪২ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মার্করামের পর আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার ডেভিড মিলারের বিদায় নিতেও সময় লাগেনি। দলীয় ২৪৩ রানে টপলির বলে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ছয় বলে পাঁচ রান করেন তিনি। মিলারের বিদায়ের পর জেনসেনকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করেন ক্লাসেন। দলীয় ৩৯৮ রানে বিদায় নেওয়ার আগে খেলেন ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ৩৯৯/৭ (ডি কক ৪, হেনরিকস ৮৫, ডুসেন ৬০, মার্করাম ৪২, ক্লাসেন ১০৯, মিলার ৫, জেনসেন ৭৫, জেরাল্ড ৩, মহারাজ ১ ; টপলি ৮.৫-০-৮৮-৩, উইলি ৯-১-৬১-০, রুট ৬.১-০-৪৮-০, অ্যাটকিনসন ৯-০-৬০-২, উড ৭-০-৭৬-০, রশিদ ১০-০-৬১-২)

ইংল্যান্ড : ২২ ওভারে ১৭০/১০ (বেয়ারস্টো ১০, মালান ৬, রুট ২, স্টোকস ৫, ব্রুক ১৭, বাটলার ১৫, উইলি ১২, রশিদ ১০, অ্যাটকিনসন ৩৫, উড ৪৩, টপলি ০; এনগিদি ৫-১-২৬-২, জেনসেন ৫-০-৩৫-২, রাবাদা ৬-১-৩৮-১, কোয়েটজে ৪-০-৩৫-৩, মহারাজ ২-০-২৭-১)

ফলাফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৯ রানে জয়ী।