০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থেকে পাকিস্তানে ফিরেছেন নওয়াজ শরীফ

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও ঘোষিত অপরাধী নওয়াজ শরীফ মেডিকেল চিকিৎসার কথা বলে স্বেচ্ছায় চার বছর নির্বাসনে থেকে পাকিস্তানে ফিরেছেন। শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকালে তিনি ইসলামাবাদে পা রাখেন।

এসময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সাবেক আইনমন্ত্রী সিনেটর আজম তারা। সেখানে দলের অন্য নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। পানামা দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গিয়েছিলেন।

ইসলামাবাদে অবতরণের পর জামিন নিশ্চিত করেন নওয়াজ। এরপর যাবেন লাহোরে। সেখানে সন্ধ্যায় (মিনারে পাকিস্তানে) জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এর আগে, আগামী ২৪ অক্টোবরে আদালতে হাজির না হওয়া পর্যন্ত নওয়াজকে গ্রেপ্তারে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

এই মুহূর্তে তীব্র সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে ভুগছে তারা। এই আবহেই জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগেই দেশে ফিরলেন নওয়াজ। রাজনীতিতে নয়া ইনিংস শুরু করতেও নওয়াজ দেশে ফিরলেন বলে মত সেদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুইটি দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পর সেচ্ছায় নির্বাসনে ছিলেন নাওয়াজ। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নওয়াজ দাবি করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাঁকে ২০১৭ সালে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের পেছনে কাজ করেছে। এ কারণে পরবর্তীতে আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

২০১৯ সালের নভেম্বরে একটি প্রাদেশিক হাইকোর্ট এই রাজনীতিবিদকে চিকিৎসা করাতে চার সপ্তাহের জন্য লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি দেন। অনুমতি দেওয়ার সময় আদালত এই মর্মে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন, তিনি ফিরে এসে কারাভোগের মেয়াদ পূরণ করবেন। কিন্তু তিনি আর পাকিস্তানে ফিরে আসেননি। পরে তাঁকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।

স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থেকে পাকিস্তানে ফিরেছেন নওয়াজ শরীফ

আপডেট : ০৯:৫৯:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও ঘোষিত অপরাধী নওয়াজ শরীফ মেডিকেল চিকিৎসার কথা বলে স্বেচ্ছায় চার বছর নির্বাসনে থেকে পাকিস্তানে ফিরেছেন। শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকালে তিনি ইসলামাবাদে পা রাখেন।

এসময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সাবেক আইনমন্ত্রী সিনেটর আজম তারা। সেখানে দলের অন্য নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। পানামা দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গিয়েছিলেন।

ইসলামাবাদে অবতরণের পর জামিন নিশ্চিত করেন নওয়াজ। এরপর যাবেন লাহোরে। সেখানে সন্ধ্যায় (মিনারে পাকিস্তানে) জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এর আগে, আগামী ২৪ অক্টোবরে আদালতে হাজির না হওয়া পর্যন্ত নওয়াজকে গ্রেপ্তারে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

এই মুহূর্তে তীব্র সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গে ভুগছে তারা। এই আবহেই জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগেই দেশে ফিরলেন নওয়াজ। রাজনীতিতে নয়া ইনিংস শুরু করতেও নওয়াজ দেশে ফিরলেন বলে মত সেদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুইটি দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পর সেচ্ছায় নির্বাসনে ছিলেন নাওয়াজ। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নওয়াজ দাবি করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাঁকে ২০১৭ সালে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের পেছনে কাজ করেছে। এ কারণে পরবর্তীতে আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

২০১৯ সালের নভেম্বরে একটি প্রাদেশিক হাইকোর্ট এই রাজনীতিবিদকে চিকিৎসা করাতে চার সপ্তাহের জন্য লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি দেন। অনুমতি দেওয়ার সময় আদালত এই মর্মে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন, তিনি ফিরে এসে কারাভোগের মেয়াদ পূরণ করবেন। কিন্তু তিনি আর পাকিস্তানে ফিরে আসেননি। পরে তাঁকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।