ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হামাসকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা আরও জোরদার করা হবে এবং তিনি গাজার অধিবাসীদের মধ্যে এখনো যারা সেখানে অবস্থান করছেন তাদেরকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলেছেন। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে লিফলেট ছেড়ে অধিবাসীদের দক্ষিণের দিকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। অন্যথায়, যাদের দেখা যাবে তাদের হামাস হিসেবে গণ্য করার হুমকি দিয়েছে তারা। ওদিকে, মিশর সীমান্ত দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে সেখানে খাদ্য, ঔষধ ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে জাতিসংঘ এই ত্রাণকে যতটা দরকার সেই তুলনায় ‘সাগরের মধ্যে এক ফোটা পানি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সূত্র: বিবিসি, বাংলা।
টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি নির্বিচার এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাও। অবিরাম এই হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা আগেই ছাড়িয়েছে চার হাজার। আর এর মধ্যেই এবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে হামলার তীব্রতা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। রোববার (২২ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী রোববার সন্ধ্যা থেকে গাজায় হামলার তীব্রতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বলে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)-এর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা (গাজা ভূখণ্ডে) আমাদের হামলা আরও তীব্র করব, যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে আমাদের বাহিনীর জন্য ঝুঁকি কমিয়ে আনব এবং আমরা আজ থেকেই আক্রমণ বাড়াতে যাচ্ছি।’ আর তাই গাজা শহরের বাসিন্দাদের ‘তাদের নিরাপত্তার জন্য আরও দক্ষিণে সরে যেতে’ আহ্বান জানিয়েছেন হ্যাগারি।
শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা: পশ্চিম তীরে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলের হামলায় ১৩ জন নিহত হবার খবর দিয়েছে জাতিসংঘ। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু রয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ওই হামলা চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া ওই হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছে।
ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে। গত ৫০ বছরে ইসরায়েল পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমে বিপুল সংখ্যক বসতি স্থাপন করেছে যেখানে এখন প্রায় সাত লাখ ইহুদি বসবাস করে। যদিও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরণের বসতি বৈধ নয়। এ বছর পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমে সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মসজিদে হামলা: আইডিএফ সামাজিক মাধ্যম এক্সে করা পোস্টে জানিয়েছে, তারা মূলত একটি মসজিদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। “ওই মসজিদটি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল,” ওই পোস্টে বলা হয়। ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর গাজা উপত্যকা থেকে আলাদা একটি অঞ্চল, যেখানে আগেই বিমান হামলা জোরদারের কথা জানিয়েছিলো আইডিএফ।