০৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিম্মিকে মুক্তি দিতে চেয়েছে হামাস, নিতে অস্বীকার নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলের দুই জিম্মিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল হামাস, কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হননি। হামাসের মুখপাত্র খালেদ আল কাদ্দৌমি বলেন, ‘মানবিক কারণে ইসরায়েলের দুই বন্দিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইসরায়েল আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।’

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাসের প্রস্তাবটি নেতানিয়াহুর কার্যালয় প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানা গেছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা হামাসের জঘন্য প্রচারণার জবাব দেব না। আমরা সমস্ত বন্দী এবং নিখোঁজদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু চালিয়ে যাব।”

হামাস মিথ্যাচার করছে বলেও অভিযোগ করেছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়। আল জাজিরার সাংবাদিক জামজুন বলেন, গতকাল শনিবার কাতারের মধ্যস্থতায় দুই মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলের দুই বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি চাউর হয়।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে নোরিত ইতশাক ও ইয়োখেফেদ লিফশিৎজ নামের দুই জিম্মিকে আমরা মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। এ ব্যাপারে কাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে আমরা কিছুই দাবি করিনি। তবু তাদের গ্রহণ করতে রাজি হয়নি ইসরায়েল।’

ইসরায়েল অবশ্য হামাসের এ দাবিকে ‘জঘন্য প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছে।

দুই জিম্মিকে নিতে রাজি না হওয়ায় ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন হামাসের মুখপাত্র খালেদ আল-কাদ্দোমি। তিনি বলেন, ‘এতে প্রমাণিত হয় সংঘাত বন্ধে আগ্রহী নয় ইসরায়েল।’

এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘গাজার স্থল অভিযান শুরু করার আগে আমরা বোমা হামলা আরও জোরদার করব। আমরা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ১৬ দিন ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি যুদ্ধ চলছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন।

এর মধ্যে গতকাল শনিবার মিসরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর সেখান দিয়ে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে গাজায়। খাবার, পানি ও ওষুধ ছাড়াও এসব ট্রাকের একটিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কফিনও। কিন্তু গাজার বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য মাত্র এই ২০ ট্রাক ত্রাণ সাহায্যকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।

এদিকে গাজা উপত্যকায় গতকাল শনিবার রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকার পর গাজা এলাকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল বাহিনী। এমনকি পশ্চিম তীরের একটি মসজিদের ওপরেও বোমা বর্ষণ করেছে তারা।

জিম্মিকে মুক্তি দিতে চেয়েছে হামাস, নিতে অস্বীকার নেতানিয়াহুর

আপডেট : ০৬:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েলের দুই জিম্মিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল হামাস, কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হননি। হামাসের মুখপাত্র খালেদ আল কাদ্দৌমি বলেন, ‘মানবিক কারণে ইসরায়েলের দুই বন্দিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইসরায়েল আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।’

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাসের প্রস্তাবটি নেতানিয়াহুর কার্যালয় প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানা গেছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা হামাসের জঘন্য প্রচারণার জবাব দেব না। আমরা সমস্ত বন্দী এবং নিখোঁজদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু চালিয়ে যাব।”

হামাস মিথ্যাচার করছে বলেও অভিযোগ করেছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়। আল জাজিরার সাংবাদিক জামজুন বলেন, গতকাল শনিবার কাতারের মধ্যস্থতায় দুই মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলের দুই বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি চাউর হয়।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে নোরিত ইতশাক ও ইয়োখেফেদ লিফশিৎজ নামের দুই জিম্মিকে আমরা মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। এ ব্যাপারে কাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে আমরা কিছুই দাবি করিনি। তবু তাদের গ্রহণ করতে রাজি হয়নি ইসরায়েল।’

ইসরায়েল অবশ্য হামাসের এ দাবিকে ‘জঘন্য প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছে।

দুই জিম্মিকে নিতে রাজি না হওয়ায় ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন হামাসের মুখপাত্র খালেদ আল-কাদ্দোমি। তিনি বলেন, ‘এতে প্রমাণিত হয় সংঘাত বন্ধে আগ্রহী নয় ইসরায়েল।’

এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘গাজার স্থল অভিযান শুরু করার আগে আমরা বোমা হামলা আরও জোরদার করব। আমরা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ১৬ দিন ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি যুদ্ধ চলছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন।

এর মধ্যে গতকাল শনিবার মিসরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর সেখান দিয়ে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে গাজায়। খাবার, পানি ও ওষুধ ছাড়াও এসব ট্রাকের একটিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কফিনও। কিন্তু গাজার বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য মাত্র এই ২০ ট্রাক ত্রাণ সাহায্যকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।

এদিকে গাজা উপত্যকায় গতকাল শনিবার রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকার পর গাজা এলাকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল বাহিনী। এমনকি পশ্চিম তীরের একটি মসজিদের ওপরেও বোমা বর্ষণ করেছে তারা।