Dhaka ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন ছাড়ার নির্দেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৮৩ দেখেছেন

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপের কারণে টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের সোমবারের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন পথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশে উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় মঙ্গলবার থেকে সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ, স্পিড বোট, কাঠের বোট বা যে কোনো জলযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অবস্থানরত সব পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেন্ট মার্টিনে মাইকিং করে দ্বীপের সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। ১০০ জন বিচকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক পর্যটকসহ সমুদ্রবর্তী মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহে সচেতনতায় কাজ করছে।’

ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিন সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী দুইটি করে জাহাজ চললেও আজ পর্যটক ফেরাতে অতিরিক্ত আরেকটি জাহাজ পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে আজকে প্রায় তিন হাজারের বেশি পর্যটককে সেন্ট মার্টিন থেকে ফিরেছে।’

সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের সচেতন করতে সব রকম চেষ্টা চালিয়েছি। সতর্কতা জারি করার পরও যারা রয়ে গেছেন তারা নিজ দায়িত্বে রয়ে গেছেন। তবে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়েছেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের একজন তাসমিয়া বলেন, ‘আমরা আজকেই এখানে এসেছি। আগাম হোটেল বুকিং ও জাহাজের টিকিট করা ছিল। দুই রাত থাকার কথা থাকলেও এখন জানি না কবে ফিরতে পারবো। এখানে সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ হচ্ছে। আমরা মাইকিং শুনেছি, তবে তার আগেই জাহাজ ছেড়ে যাওয়ায় আমরা ফিরতে পারিনি।’

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্ট মার্টিনের আবহাওয়া এখন গুমোট হয়ে আছে। সাগর ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার বেলা ১২টার দিকে গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর উত্তাল রয়েছে।

পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন ছাড়ার নির্দেশ

আপডেট : ০১:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপের কারণে টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের সোমবারের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন পথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশে উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় মঙ্গলবার থেকে সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ, স্পিড বোট, কাঠের বোট বা যে কোনো জলযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অবস্থানরত সব পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেন্ট মার্টিনে মাইকিং করে দ্বীপের সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। ১০০ জন বিচকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক পর্যটকসহ সমুদ্রবর্তী মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহে সচেতনতায় কাজ করছে।’

ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিন সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী দুইটি করে জাহাজ চললেও আজ পর্যটক ফেরাতে অতিরিক্ত আরেকটি জাহাজ পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে আজকে প্রায় তিন হাজারের বেশি পর্যটককে সেন্ট মার্টিন থেকে ফিরেছে।’

সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের সচেতন করতে সব রকম চেষ্টা চালিয়েছি। সতর্কতা জারি করার পরও যারা রয়ে গেছেন তারা নিজ দায়িত্বে রয়ে গেছেন। তবে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়েছেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের একজন তাসমিয়া বলেন, ‘আমরা আজকেই এখানে এসেছি। আগাম হোটেল বুকিং ও জাহাজের টিকিট করা ছিল। দুই রাত থাকার কথা থাকলেও এখন জানি না কবে ফিরতে পারবো। এখানে সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ হচ্ছে। আমরা মাইকিং শুনেছি, তবে তার আগেই জাহাজ ছেড়ে যাওয়ায় আমরা ফিরতে পারিনি।’

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্ট মার্টিনের আবহাওয়া এখন গুমোট হয়ে আছে। সাগর ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার বেলা ১২টার দিকে গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর উত্তাল রয়েছে।