গাজায় সাধারণ নাগরিকেরা দৈনন্দিন প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৩ শতাংশ ত্রাণ পাচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর আল জাজিরার।
এর আগে, রোববার দ্বিতীয় ধাপে ১৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে। রাফাং সীমান্ত পুনরায় খোলার পর এ নিয়ে মোট ৩৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় পৌঁছালো।
তবে চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন অন্তত ১০০ ট্রাক ত্রাণ পাঠানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় দুই ধাপে প্রবেশ করা ত্রাণের কোনোটিতেই জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে জ্বালানি মজুত শেষ হয়ে যাবে।
ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। এরই মধ্যে সেখানকার ৪২ শতাংশ বাড়িঘর বিধ্বস্ত। গাজার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
জ্বালানি সংকটের কারণে গাজার হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ১২০ নবজাতক ঝুঁকিতে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
গাজার বাসিন্দাদের জন্য দুটি বিমানে ৮৭ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে মিশর। এছাড়া চিকিৎসা সরঞ্জামসহ সাড়ে ৩৮ টন ত্রাণসহায়তা পাঠিয়েছে ভারত।
এদিকে, হামাসের হাতে ২১২ জন বন্দীর তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। গাজা উপত্যকায় চালানো হামলায় হামাসের এক শীর্ষ কামান্ডারের মৃত্যু দাবি করেছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাতশো ফিলিস্তিনিকে আটকের দাবি ইসরায়েলের।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা হামলা অব্যাহত রাখার পরিণতি মারাত্মক হবে বলে সতর্ক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।