যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনীতিককে ইরাক থেকে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশনায় জানানো হয়, কেবল জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা শুধু ইরাকে থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য আরও একটি নির্দেশিকা জারি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। এতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে কোনো নাগরিক যেন ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা না করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকে ইতোমধ্যে মার্কিন প্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এ কারণেই সেখান থেকে কূটনীতিক এবং কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, গোটা মধ্যপ্রাচ্য ঘিরেই মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরাকে একাধিক গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে।
ইরানকে নিয়ে সতর্ক করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সম্প্রতি বলেন, ইসরায়েল-গাজা সংঘাতকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে ইরান।
লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে ইরান সমর্থন করে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি। সেই হিজবুল্লাহ হামাসের সমর্থনে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে তারাও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। ইরানের মদতেই এ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদেরও ইরান মদত দেয় বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। সম্প্রতি তারাও মার্কিন যুদ্ধ জাহাজে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ দেশটির। যদিও প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রই ধ্বংসের দাবি করা হয়েছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালাতে শুরু করেছে। তাদের চেষ্টা যাতে বিফল হয়, সেজন্য সব ব্যবস্থা আমরা করছি।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করার সব দায়িত্ব সরকার পালন করবে। এ কারণেই ওই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পরেই ওই অঞ্চলে প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম দুটি জাহাজ ওই অঞ্চলের সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় দুই হাজার মেরিন ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুক্ত হয়নি। কিন্তু, ওই অঞ্চলে সেনা পাঠিয়ে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দেশটি।