ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসরায়েলের দিকে তাক করা আছে দেড় লাখ রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি মাসের প্রথমদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও পরে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সংঘাত শুরু হয়। ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অতর্কিত হামলার পর হামাস নির্মূলে অবরুদ্ধ গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারায় অন্তত পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক। পরে হামাসের প্রতি সহমত জানিয়ে হিজবুল্লাহও লেবানন সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের ভূখণ্ডে রকেট হামলা শুরু করে। এরপর ফের মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটে আলোচনায় ওঠে আসে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

হিজবুল্লাহর কাছে কয়েক শত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডের অনেক ভেতরে আঘাত হানতে সক্ষম। তাদের একটি অত্যাধুনিক আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে সেই সঙ্গে একটি কমান্ডো বাহিনী। সর্বশেষ হিজবুল্লাহর সক্ষমতা মূল্যায়ন করে তেল আবিবের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রকাশিত নিবন্ধে এসব বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর কাছে প্রায় ৪০ হাজার স্বল্পপাল্লার রকেট, ইরানের তৈরি ৮০ হাজার মাঝারিপাল্লার ফজর-৩ ও ফজর-৫ রকেট এবং ৩০ হাজার দূরপাল্লার জেলজেল রকেট ও ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের পক্ষে যুদ্ধ করার বিনিময়ে তারা বেশকিছু স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে। এ ছাড়া কয়েক শ ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্রও পেয়েছে তারা। এসব দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ কেজি ওজনের বোমা বহন করতে সক্ষম। জিপিএস প্রযুক্তিসংবলিত এ ক্ষেপণাস্ত্র নিখুঁতভাবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

ইসরায়েলের দিকে তাক করা আছে দেড় লাখ রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র

তেলআবিবের সামরিক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমান করছে, যুদ্ধের প্রথম কয়েক দিনে কয়েক হাজার রকেট ছুড়তে সক্ষম হিজবুল্লাহ। এরপর প্রতিদিন দেড় হাজার রকেট ছোড়ার সক্ষমতা রয়েছে তাদের। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ রকেট ছুড়েছিল সংগঠনটি।

সম্প্রতি হারেৎজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে প্রায় দেড় লাখ রকেট ও স্বল্প-মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের অনেক গভীরে আঘাত হানতে পারে তারা।

প্রায় ১৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস এক সংবাদ সম্মেলনে হিজবুল্লাহকে নিয়ে একটি মূল্যায়ন করেছিলেন। সেখানে ইসরায়েলের তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকও উপস্থিত ছিলেন। রবার্ট গেটস বলেছিলেন, ‘বিশ্বের অনেক স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেশের তুলনায় হিজবুল্লাহর কাছে অনেক বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট রয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ইসরায়েলের দিকে তাক করা আছে দেড় লাখ রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র

আপডেট সময় : ০৫:১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

চলতি মাসের প্রথমদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও পরে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সংঘাত শুরু হয়। ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অতর্কিত হামলার পর হামাস নির্মূলে অবরুদ্ধ গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারায় অন্তত পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক। পরে হামাসের প্রতি সহমত জানিয়ে হিজবুল্লাহও লেবানন সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের ভূখণ্ডে রকেট হামলা শুরু করে। এরপর ফের মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটে আলোচনায় ওঠে আসে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

হিজবুল্লাহর কাছে কয়েক শত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডের অনেক ভেতরে আঘাত হানতে সক্ষম। তাদের একটি অত্যাধুনিক আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে সেই সঙ্গে একটি কমান্ডো বাহিনী। সর্বশেষ হিজবুল্লাহর সক্ষমতা মূল্যায়ন করে তেল আবিবের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রকাশিত নিবন্ধে এসব বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর কাছে প্রায় ৪০ হাজার স্বল্পপাল্লার রকেট, ইরানের তৈরি ৮০ হাজার মাঝারিপাল্লার ফজর-৩ ও ফজর-৫ রকেট এবং ৩০ হাজার দূরপাল্লার জেলজেল রকেট ও ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের পক্ষে যুদ্ধ করার বিনিময়ে তারা বেশকিছু স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে। এ ছাড়া কয়েক শ ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্রও পেয়েছে তারা। এসব দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ কেজি ওজনের বোমা বহন করতে সক্ষম। জিপিএস প্রযুক্তিসংবলিত এ ক্ষেপণাস্ত্র নিখুঁতভাবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

ইসরায়েলের দিকে তাক করা আছে দেড় লাখ রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র

তেলআবিবের সামরিক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমান করছে, যুদ্ধের প্রথম কয়েক দিনে কয়েক হাজার রকেট ছুড়তে সক্ষম হিজবুল্লাহ। এরপর প্রতিদিন দেড় হাজার রকেট ছোড়ার সক্ষমতা রয়েছে তাদের। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ রকেট ছুড়েছিল সংগঠনটি।

সম্প্রতি হারেৎজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে প্রায় দেড় লাখ রকেট ও স্বল্প-মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের অনেক গভীরে আঘাত হানতে পারে তারা।

প্রায় ১৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস এক সংবাদ সম্মেলনে হিজবুল্লাহকে নিয়ে একটি মূল্যায়ন করেছিলেন। সেখানে ইসরায়েলের তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকও উপস্থিত ছিলেন। রবার্ট গেটস বলেছিলেন, ‘বিশ্বের অনেক স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেশের তুলনায় হিজবুল্লাহর কাছে অনেক বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট রয়েছে।’