ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুর্ঘটনার আগে ২ বার সিগন্যাল ভাঙে মালবাহী ট্রেন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেনকে ধাক্কার আগে দুইবার সিগন্যাল অমান্য করে মালবাহী ট্রেনটি। গতিও বেশি ছিল বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং দায় কাদের, তা তদন্তে অন্তত পাঁচদিন সময় লাগতে পারে। এদিকে ঘটনার ভয়াবহতায় এখনো হতবিহ্বল প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে এগারসিন্ধুর ট্রেনের বিভিন্ন অংশ। ঘটনার ভয়াবহতায় এখনো ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।

গত সোমবার ঢাকাগামী যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পণ্যবাহী আরেকটি ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ছিটকে যায় পেছনের দুটি বগি। এমন ভয়াবহ ঘটনা এর আগে দেখেননি স্থানীয়রা।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘গাড়ির হুইসেল শুনে পেছনে তাকালাম। তারপর একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। পরেই দেখলাম ট্রেনটা একপাশে কাত হয়ে পড়ে গেল। এরকম দুর্ঘটনা আমাদের সময় বা আমাদের বাপ–দাদাদের আমলেও দেখি নাই।’

দুর্ঘটনার পরপরই জানানো হয়েছিল, পণ্যবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করার কারণে দুর্ঘটনা হয়। সিগন্যালের দায়িত্বে থাকা স্টেশন ম্যানেজার বলছেন, ট্রেনটিকে থামতে বলার পরও দুটি সিগন্যাল পার হয় সেটি। দ্রুতগতিতে চালানোয় দৌলতকান্দি থেকে ভৈরবে যেতে ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় নির্ধারিত থাকলেও পৌঁছে যায় মাত্র তিন মিনিটেই।

ভৈরব স্টেশনের ম্যানেজার মোসাম্মৎ জেবুন্নেছা বলেন, ‘আমি ট্রেনটিকে সিগন্যাল দেইনি। সিগন্যাল অমান্য করেই এটি চলে আসে। মোট চারটা সিগন্যাল দেওয়া হয়। এটি দুটিই অমান্য করে।’

দুর্ঘটনার কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিতে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর ছুটি থাকায় ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি কমিটির কাউকেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দুর্ঘটনার আগে ২ বার সিগন্যাল ভাঙে মালবাহী ট্রেন

আপডেট সময় : ০৪:৫২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেনকে ধাক্কার আগে দুইবার সিগন্যাল অমান্য করে মালবাহী ট্রেনটি। গতিও বেশি ছিল বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং দায় কাদের, তা তদন্তে অন্তত পাঁচদিন সময় লাগতে পারে। এদিকে ঘটনার ভয়াবহতায় এখনো হতবিহ্বল প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে এগারসিন্ধুর ট্রেনের বিভিন্ন অংশ। ঘটনার ভয়াবহতায় এখনো ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।

গত সোমবার ঢাকাগামী যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পণ্যবাহী আরেকটি ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ছিটকে যায় পেছনের দুটি বগি। এমন ভয়াবহ ঘটনা এর আগে দেখেননি স্থানীয়রা।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘গাড়ির হুইসেল শুনে পেছনে তাকালাম। তারপর একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। পরেই দেখলাম ট্রেনটা একপাশে কাত হয়ে পড়ে গেল। এরকম দুর্ঘটনা আমাদের সময় বা আমাদের বাপ–দাদাদের আমলেও দেখি নাই।’

দুর্ঘটনার পরপরই জানানো হয়েছিল, পণ্যবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করার কারণে দুর্ঘটনা হয়। সিগন্যালের দায়িত্বে থাকা স্টেশন ম্যানেজার বলছেন, ট্রেনটিকে থামতে বলার পরও দুটি সিগন্যাল পার হয় সেটি। দ্রুতগতিতে চালানোয় দৌলতকান্দি থেকে ভৈরবে যেতে ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় নির্ধারিত থাকলেও পৌঁছে যায় মাত্র তিন মিনিটেই।

ভৈরব স্টেশনের ম্যানেজার মোসাম্মৎ জেবুন্নেছা বলেন, ‘আমি ট্রেনটিকে সিগন্যাল দেইনি। সিগন্যাল অমান্য করেই এটি চলে আসে। মোট চারটা সিগন্যাল দেওয়া হয়। এটি দুটিই অমান্য করে।’

দুর্ঘটনার কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিতে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর ছুটি থাকায় ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি কমিটির কাউকেই।