আন্দোলনের নামে বিএনপির নাশকতার চেষ্টায় কোনোভাবে আওয়ামী লীগ শঙ্কিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আজ মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা রোপণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে মহাসমাবেশ ডেকেছে তাতে আমাদের কোনো শঙ্কা নেই। তারা সমাবেশ করবে এবং সমাবেশ শেষে বাড়ি ফিরে যাবে এখানে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনো কিছুতেই আওয়ামী লীগ শঙ্কিত নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত এই দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের পাশে আছে। জনগণের সমর্থন যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশি–বিদেশি কোনো শক্তি আওয়ামী লীগকে সরাতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সবসময় মাঠে আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপির এই মহাসমাবেশে বিদেশি বিশেষ একটি গোষ্ঠীর ইন্ধন আছে। তবে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। কারণ জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। এর আগেও বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন করেছে। সেই ১০ ডিসেম্বর পার হয়ে গেছে। তারা বলেছিল ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকার পতন না হলে হাতে চুড়ি পড়বেন। তাদের এসব কথাবার্তা নিয়ে দেশবাসীও ভাবে না আওয়ামী লীগও ভাবে না। বিএনপি নিজেদের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য মিথ্যা আশ্বাস দেয়। মিথ্যাচার করে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও প্রতারণা করে আসছে। মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে এবার তাদের ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে আসলে ফলাফল শূন্য।’
বিএনপি নাশকতার চেষ্টা করলে সরকার ছাড় দেবে না জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘যেকোনো শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রতি আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নাম করে যদি অশান্তি সৃষ্টি করা হয়, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করা হয় তাহলে সরকার কঠোর হাতে তা দমন করবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
বিএনপির মুখে সরকার পতনের হুমকি–ধামকি মানায় না মন্তব্য করে হানিফ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন এই সরকারই থাকবে এবং এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া ইতিহাস কিন্তু আওয়ামী লীগের নাই বিএনপির আছে। বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান কিন্তু এখনো পালিয়ে আছে। এদেশ থেকে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতিকে থেকে চলে গেছে। যে দলের শীর্ষ নেতা মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে পালিয়ে থাকে সেই দলের নেতাকর্মীদের অন্য দলকে পালিয়ে যাওয়ার হুমকি–ধামকি দেওয়া খুবই হাস্যকর ও বেমানান।’