০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামাস নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলে যুদ্ধ বন্ধ করা হবে : ইসরায়েল

দুটি শর্ত মানলেই গাজায় শুরু হতে যাওয়া স্থল অভিযান এমনকি যুদ্ধ বাতিল করা হবে বলে জানিইয়েছেন ইসরায়েলির সশস্ত্র বাহিনীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস। সোমবার (২৩ অক্টোবর) এবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বলেন, হামাস নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ না করলে স্থল সেনারা গাজা আক্রমণ করবে। এছাড়াও গাজায় হামাসের জিম্মায় থাকা বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।

কয়েকদিন ধরে জল্পনা-কল্পনা সত্ত্বেও কেন স্থল আগ্রাসন বিলম্বিত হচ্ছে- এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হামাসকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করবে।

কনরিকাস বলেন, ‘এখানে আমাদের লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা। এটি যদি বিমান হামলার মাধ্যমে এবং আমাদের সৈন্যদের খুব সীমিত ব্যবহারের মাধ্যমে করা যায়, তাহলে খুবই ভালো। পাশাপাশি কম ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি স্থিতাবস্থা তৈরি করা গেলে তবে এটি দুর্দান্ত বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, যদি হামাস লুকিয়ে থেকে, তাদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তি না দেয়, তারা এখন যেমনটা করছে, তাহলে সম্ভবত আমাদের ভেতরে যেতে হবে এবং অভিযান সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের কথা হলো, আমাদের ২১২ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে দাও, নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করো, তাহলে যুদ্ধ শেষ হবে।

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর এই মুখপাত্র আরও বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে এই যুদ্ধের শেষ অবস্থানটা হবে এমন, হামাস ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে এবং তারা আর কখনোই কোনো ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে না এবং অবশ্যই ৭ অক্টোবর তারা যে ধরনের ভয়ংকর আক্রমণ করেছিল, তা করার ক্ষমতা নিঃশেষ করে দেওয়া। এটিই আমাদের লক্ষ্য।

এদিকে আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। মুক্তি পাওয়া দুজনই ইসরায়েলি নারী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। ওই দুই জিম্মির মুক্তির পরও দক্ষিণ গাজায় রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক।

হামাস নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলে যুদ্ধ বন্ধ করা হবে : ইসরায়েল

আপডেট : ০৮:০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

দুটি শর্ত মানলেই গাজায় শুরু হতে যাওয়া স্থল অভিযান এমনকি যুদ্ধ বাতিল করা হবে বলে জানিইয়েছেন ইসরায়েলির সশস্ত্র বাহিনীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস। সোমবার (২৩ অক্টোবর) এবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বলেন, হামাস নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ না করলে স্থল সেনারা গাজা আক্রমণ করবে। এছাড়াও গাজায় হামাসের জিম্মায় থাকা বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।

কয়েকদিন ধরে জল্পনা-কল্পনা সত্ত্বেও কেন স্থল আগ্রাসন বিলম্বিত হচ্ছে- এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হামাসকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করবে।

কনরিকাস বলেন, ‘এখানে আমাদের লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা। এটি যদি বিমান হামলার মাধ্যমে এবং আমাদের সৈন্যদের খুব সীমিত ব্যবহারের মাধ্যমে করা যায়, তাহলে খুবই ভালো। পাশাপাশি কম ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি স্থিতাবস্থা তৈরি করা গেলে তবে এটি দুর্দান্ত বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, যদি হামাস লুকিয়ে থেকে, তাদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তি না দেয়, তারা এখন যেমনটা করছে, তাহলে সম্ভবত আমাদের ভেতরে যেতে হবে এবং অভিযান সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের কথা হলো, আমাদের ২১২ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে দাও, নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করো, তাহলে যুদ্ধ শেষ হবে।

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর এই মুখপাত্র আরও বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে এই যুদ্ধের শেষ অবস্থানটা হবে এমন, হামাস ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে এবং তারা আর কখনোই কোনো ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে না এবং অবশ্যই ৭ অক্টোবর তারা যে ধরনের ভয়ংকর আক্রমণ করেছিল, তা করার ক্ষমতা নিঃশেষ করে দেওয়া। এটিই আমাদের লক্ষ্য।

এদিকে আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। মুক্তি পাওয়া দুজনই ইসরায়েলি নারী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। ওই দুই জিম্মির মুক্তির পরও দক্ষিণ গাজায় রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক।