‘প্রথমে পিটালেও পরে ভালো আচরণ করেছে হামাস’
- আপডেট সময় : ০৫:২৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গতকাল সোমবার দুই ইসরায়েলি নারীকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী দল হামাস। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন ৮৫ বছর বয়সী ইউচেভড লিফশিচজ। হামাসের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এ নারীকে তেল আবিবের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে হামাসের হাতে আটক থাকার অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন ইউচেভড। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সাংবাদিকদের ইউচেভড বলেন, ’মনে হচ্ছিল নরকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম।আমরা বুঝতে পারিনি যে আমাদের এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
ইসরায়েলি এ বৃদ্ধা জানান, তাঁকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ভেজা মাঠ দিয়ে কয়েক কিলোমিটার হাঁটিয়ে সুড়ঙ্গের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন,’আমি যখন বাইকে ছিলাম, তখন আমার মাথা একদিকে ছিল এবং আমার শরীরের বাকি অংশ অন্য দিকে ছিল। পথে যুবকরা আমাকে মারধর করে। তারা আমার পাঁজর ভাঙেনি কিন্তু এটি বেদনাদায়ক ছিল এবং আমার শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়েছিল।’
ইউচেভড জানান, গাজায় সুড়ঙ্গে নেওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে ভালো আচরণ শুরু করে হামাস সদস্যরা।
৮৫ বছর বয়সী ওই নারী বলেন, গাজায় নেয়ার পর তাকে অন্য জিম্মিদের সঙ্গে একটি টানেলের ভেতরে রাখা হয়। সেখানে প্রতি পাঁচজন জিম্মির দেখাশোনার জন্য একজন করে হামাস সৈন্য ছিল। টানেলের ভেতর সাদা পনির ও শসা খেতে দেয়া হয়েছিল।
লিফশিচজের কন্যা শ্যারন জানান, হামাস সেনারাও একই খাবার খেতেন।
লিফশিচজ আরও বলেন, হামাস সেনারা নারী স্বাস্থ্যসহ জিম্মিদের সব ধরনের সেবা দিয়েছে। বেশির ভাগ জিম্মির সঙ্গে তারা ভালো আচরণ করেছে। তাদের থাকার জায়গা খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল। আহত জিম্মিদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্যারামেডিক দেখতে আসতেন ও তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিতেন।