সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন মারা গেছেন
- আপডেট সময় : ০৭:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান। এদিনই তিনি বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মৃত্যুকালে সৈয়দ আবুল হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর পর তার নির্বাচনী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৫১ সালে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের বেতগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক তহমিনা সিদ্দিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমপি তহমিনা সিদ্দিক বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর মরদেহ ঢাকার সিএমএইচে রাখা হয়েছে। আবুল হোসেনের সন্তানেরা দেশে ফেরার পর দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আবুল হোসেনের ভাগ্নে সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘লাশ বর্তমানে সিএমএইচের হিমাগারে রাখা আছে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কখন লাশ দাফন করা হবে।’
সৈয়দ আবুল হোসেন একজন রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি যোগাযোগমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন।
২০১১ সালের ২৮শে এপ্রিল পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু বছরের শেষ দিকেই তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসময় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যাওয়ায় ২০১২ সালের ৫ই জানুয়ারি যোগাযোগ মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন সৈয়দ আবুল হোসেন।
পরবর্তীতে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে কানাডার আদালতে একটি মামলা হয়। দীর্ঘ ৫ বছরের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি কানাডার আদালত জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।