০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় রাতভর ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে টানা তিন সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ করছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সংঘটিত হতাহতের ঘটনা একদিনের হিসাবে সর্বোচ্চ।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গতকাল ৪০০টিরও বেশি হামাস লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও জানায়, ফিলিস্তিনি সংগঠনটিকে নির্মূল করতে তাদের লক্ষ্য অর্জনে আরও সময় লাগবে। খবর আলজাজিরার।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আকস্মিক হামলায় এক হাজার ৪০০ লোককে হত্যা করে।

এই হামলার জবাবে গাজায় অবিরাম বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় দুই হাজার ৩৬০ জন শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচ হাজার ৭৯১ জন নিহত হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টার হামলাতেই ৭০৪ জন লোক নিহত হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়টি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা জানান, গেল দুই সপ্তাহের বোমাবর্ষণের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।

গাজায় অবস্থানরত আলজাজিরার প্রতিবেদক ইয়োমনা এলসায়েদ বলেন, ‘হাজার হাজার পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে, চারদিকে কেবল ধ্বংস আর ধ্বংসের চিহ্ন। আকাশে শোনা যাচ্ছে ইসরায়েলের ড্রোন আর যুদ্ধবিমানের শব্দ। সবাই বলছে, সবাই অনুভব করছে, উপত্যকার কোনো অংশই এখন আর নিরাপদ নয়।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় চালানো আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত দু’হাজার ৩৬০ শিশুর প্রাণ গেছে। আহত পাঁচ হাজারের বেশি। তাদের শারীরিক অবস্থার পাশাপাশি সংকটে মানসিক স্বাস্থ্যেও।

ইউনিসেফের দাবি, চোখের সামনে পরিবারের সদস্যদের হত্যা, বাড়ি-স্কুলে ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে গাজার শিশুরা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতেও উপত্যকায় রেড ক্রিসেন্টের সদর দফতর আল-আমাল হাসপাতালকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে আশ্রিত ছিলেন ৪ হাজার গাজাবাসী। দু’দিনে প্রায় সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু দেখেছে গাজা। ইসরাইলি আগ্রাসনে মোট প্রাণহানি পাঁচ হাজার ৭ শতাধিক । আহত ১৫ হাজারের বেশি।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত

আপডেট : ০৭:১৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

গাজা উপত্যকায় রাতভর ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে টানা তিন সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ করছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সংঘটিত হতাহতের ঘটনা একদিনের হিসাবে সর্বোচ্চ।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গতকাল ৪০০টিরও বেশি হামাস লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও জানায়, ফিলিস্তিনি সংগঠনটিকে নির্মূল করতে তাদের লক্ষ্য অর্জনে আরও সময় লাগবে। খবর আলজাজিরার।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আকস্মিক হামলায় এক হাজার ৪০০ লোককে হত্যা করে।

এই হামলার জবাবে গাজায় অবিরাম বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় দুই হাজার ৩৬০ জন শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচ হাজার ৭৯১ জন নিহত হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টার হামলাতেই ৭০৪ জন লোক নিহত হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়টি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা জানান, গেল দুই সপ্তাহের বোমাবর্ষণের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।

গাজায় অবস্থানরত আলজাজিরার প্রতিবেদক ইয়োমনা এলসায়েদ বলেন, ‘হাজার হাজার পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে, চারদিকে কেবল ধ্বংস আর ধ্বংসের চিহ্ন। আকাশে শোনা যাচ্ছে ইসরায়েলের ড্রোন আর যুদ্ধবিমানের শব্দ। সবাই বলছে, সবাই অনুভব করছে, উপত্যকার কোনো অংশই এখন আর নিরাপদ নয়।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় চালানো আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত দু’হাজার ৩৬০ শিশুর প্রাণ গেছে। আহত পাঁচ হাজারের বেশি। তাদের শারীরিক অবস্থার পাশাপাশি সংকটে মানসিক স্বাস্থ্যেও।

ইউনিসেফের দাবি, চোখের সামনে পরিবারের সদস্যদের হত্যা, বাড়ি-স্কুলে ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে গাজার শিশুরা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতেও উপত্যকায় রেড ক্রিসেন্টের সদর দফতর আল-আমাল হাসপাতালকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে আশ্রিত ছিলেন ৪ হাজার গাজাবাসী। দু’দিনে প্রায় সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু দেখেছে গাজা। ইসরাইলি আগ্রাসনে মোট প্রাণহানি পাঁচ হাজার ৭ শতাধিক । আহত ১৫ হাজারের বেশি।