হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিরাপত্তা পরিষদে গাজা ইস্যুতে কথা বলার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, এর জেরে গুতেরেসের পদত্যাগ দাবি করেছে ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাস নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েলে। এরপর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে উপত্যকার লাখ লাখ বাসিন্দা। গত ১৭ দিনে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
হামাসের হামলার পরপরই গাজায় পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে ২৩ লাখ গাজাবাসী। ইসরায়েলের এমন আচরণকে মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসে হামলা শূন্য থেকে হয়নি। ৫৬ বছর ধরে ফিলিস্তিনের জনগণ দখলদারিত্বের শিকার হয়েছে। তাঁরা দেখেছে কীভাবে নিজেদের ভূখণ্ড গ্রাস করা হয়েছে এবং তাঁদের বাস্ত্যুচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের দুর্দশার রাজনৈতিক সমাধানের আশা লোপ পেয়েছে।’
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের এমন মন্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। তাঁর সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে বসবেন না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। এ ছাড়া জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলার্ড এরদান গুতেরেসের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, গুতেরেসের মন্তব্য হতবাক করেছে। তাঁকে এ মুহূর্তে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। ইসরায়েলের জনগণ ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে চালানো জগণ্য অপরাধের প্রতি যারা সহানুভূতি দেখায় তাঁদের সঙ্গে আলোচনার যৌক্তিকতা নেই।