ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘তর্কাতর্কির একপর্যায়ে গুলি করা হয় সোহেল চৌধুরীকে’

বিনোদন প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ট্রামস ক্লাবে ঢোকা নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে নব্বই দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করা হয় বলে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চোধুরী। বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদের আদালতে এ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেন সোহেল চৌধুরীর বন্ধু নছিমুল আলম। এদিন তিনি ছাড়াও সাক্ষ্য দেন ব্যবসায়ী আহমেদ সাঈদ ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন।

মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে আগামী ২৬ নভেম্বর। মামলাটিতে এরমধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে।

এদিন জবানবন্দিতে সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত কোনো এক সময়কার ঘটনা। বনানীর আবেদীন টাওয়ারের ট্রামস ক্লাবে এ ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। সোহেল চৌধুরীর ক্লাবে যাওয়ার পর ক্লাবে ঢোকা নিয়ে গেটে ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ড বা তাদের ম্যানেজমেন্টের লোকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫ টার দিকে আমার স্ত্রী জানায় সোহেল চৌধুরী মারা গেছে। তাঁর কাছ থেকে প্রথম ঘটনা শুনি। সোহেল চৌধুরীর বাসায় যাই মরদেহ দেখতে। পরদিন আদনান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর অন্য কোনো আসামির নাম জানতে পারিনি।’

মামলার আসামিরা হলেন– ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘তর্কাতর্কির একপর্যায়ে গুলি করা হয় সোহেল চৌধুরীকে’

আপডেট সময় : ১০:১৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

ট্রামস ক্লাবে ঢোকা নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে নব্বই দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করা হয় বলে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চোধুরী। বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদের আদালতে এ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেন সোহেল চৌধুরীর বন্ধু নছিমুল আলম। এদিন তিনি ছাড়াও সাক্ষ্য দেন ব্যবসায়ী আহমেদ সাঈদ ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন।

মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে আগামী ২৬ নভেম্বর। মামলাটিতে এরমধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে।

এদিন জবানবন্দিতে সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত কোনো এক সময়কার ঘটনা। বনানীর আবেদীন টাওয়ারের ট্রামস ক্লাবে এ ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। সোহেল চৌধুরীর ক্লাবে যাওয়ার পর ক্লাবে ঢোকা নিয়ে গেটে ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ড বা তাদের ম্যানেজমেন্টের লোকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫ টার দিকে আমার স্ত্রী জানায় সোহেল চৌধুরী মারা গেছে। তাঁর কাছ থেকে প্রথম ঘটনা শুনি। সোহেল চৌধুরীর বাসায় যাই মরদেহ দেখতে। পরদিন আদনান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর অন্য কোনো আসামির নাম জানতে পারিনি।’

মামলার আসামিরা হলেন– ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।