ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হিজবুল্লাহ প্রধানের সঙ্গে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতার বৈঠক

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৭৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয় অর্জনের বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের তিন শীর্ষস্থানীয় সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ, হামাস ও ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের নেতারা। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় হিজবুল্লাহ। তবে কখন এবং লেবাননের ঠিক কোথায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে তা জানানো হয়নি।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামাসের উপ–প্রধান সালেহ আল-আরোরি ও ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখলেহের সঙ্গে বৈঠকে একমত হয়েছেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। অন্যান্য সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা লড়াই পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে নেবেন। গাজা ও ফিলিস্তিনে প্রতিরোধের মাধ্যমে সত্যিকারের বিজয় অর্জন এবং ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ করা তাঁদের লক্ষ্য।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামাসের নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়। এরপর থেকে ১৭ দিন ধরে গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এসব হামলায় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহতের দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এমন পরিস্থিতিতে লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে দুইপক্ষেরই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হিজবুল্লাহকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে না জড়াতে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে আমেরিকাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো। এ ছাড়া হিজবুল্লাহ খুবই বিপজ্জনক খেলা খেলছে উল্লেখ করে সতর্ক করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছে রয়েছে প্রায় দেড় লাখ রকেট ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এসব অস্ত্র দিয়ে যেকোনো সময় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালানো সম্ভব বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

হিজবুল্লাহ প্রধানের সঙ্গে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতার বৈঠক

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয় অর্জনের বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের তিন শীর্ষস্থানীয় সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ, হামাস ও ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের নেতারা। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় হিজবুল্লাহ। তবে কখন এবং লেবাননের ঠিক কোথায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে তা জানানো হয়নি।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামাসের উপ–প্রধান সালেহ আল-আরোরি ও ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখলেহের সঙ্গে বৈঠকে একমত হয়েছেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। অন্যান্য সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা লড়াই পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে নেবেন। গাজা ও ফিলিস্তিনে প্রতিরোধের মাধ্যমে সত্যিকারের বিজয় অর্জন এবং ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ করা তাঁদের লক্ষ্য।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামাসের নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়। এরপর থেকে ১৭ দিন ধরে গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এসব হামলায় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহতের দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এমন পরিস্থিতিতে লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে দুইপক্ষেরই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হিজবুল্লাহকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে না জড়াতে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে আমেরিকাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো। এ ছাড়া হিজবুল্লাহ খুবই বিপজ্জনক খেলা খেলছে উল্লেখ করে সতর্ক করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছে রয়েছে প্রায় দেড় লাখ রকেট ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এসব অস্ত্র দিয়ে যেকোনো সময় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালানো সম্ভব বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।