০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: ডিএমপি

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে জামায়াতকে কোনোভাবেই কোনো সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ডিএমপি। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান।

তিনি বলেন, জামায়াতের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। দলটি নাশকতার দায়ে অভিযুক্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের অতীত কর্মকাণ্ড অত্যন্ত জঘন্য। তারা সাধারণ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। পুলিশকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে।

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সমাবেশ করতে চাইছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। গত শুক্রবার সমাবেশের অনুমতির জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দেয় আওয়ামীলীগ। পরে গত শনিবার তারিখ চিঠি দেয় বিএনপি। এর পরদিন রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয় জামায়াত। চিঠিতে দলটি উল্লেখ করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ করতে চায় তারা।

২০১২ সালে একাত্তরের মানবতা বিরোধীদের বিচার শুরু হলে জামায়াতের প্রায় সব শীর্ষ নেতার বিভিন্ন সাজা হয়। এর মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে। এরপর থেকেই মূলত রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি।

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থানের কারণে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারানোর পর দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করেনি দলটি। নিবন্ধন না থাকায় ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি জামায়াত।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: ডিএমপি

আপডেট : ০৮:০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে জামায়াতকে কোনোভাবেই কোনো সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ডিএমপি। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান।

তিনি বলেন, জামায়াতের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। দলটি নাশকতার দায়ে অভিযুক্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের অতীত কর্মকাণ্ড অত্যন্ত জঘন্য। তারা সাধারণ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। পুলিশকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে।

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সমাবেশ করতে চাইছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। গত শুক্রবার সমাবেশের অনুমতির জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দেয় আওয়ামীলীগ। পরে গত শনিবার তারিখ চিঠি দেয় বিএনপি। এর পরদিন রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয় জামায়াত। চিঠিতে দলটি উল্লেখ করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ করতে চায় তারা।

২০১২ সালে একাত্তরের মানবতা বিরোধীদের বিচার শুরু হলে জামায়াতের প্রায় সব শীর্ষ নেতার বিভিন্ন সাজা হয়। এর মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে। এরপর থেকেই মূলত রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি।

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থানের কারণে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারানোর পর দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করেনি দলটি। নিবন্ধন না থাকায় ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি জামায়াত।