ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হামাসের ব্যবহৃত বিভিন্ন টেলিগ্রাম চ্যানেল বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জনপ্রিয় মেসেজিং সেবা প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রাম তাদের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে হামাসের ব্যবহৃত বিভিন্ন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। গুগলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালাকে কারণ দেখিয়ে এসব চ্যানেল বন্ধ করা হয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাস_কম ও আল কাসাম ব্রিগেডস নামের দুটি চ্যানেল অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য বন্ধ করেছে টেলিগ্রাম। তবে গাজা নাউসহ হামাসের অন্যান্য চ্যানেলে এখনও প্রবেশ করা যাচ্ছে।

এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পেছনে গুগলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালাকে দায়ী করছে টেলিগ্রাম। যারা গুগল প্লে স্টোর থেকে টেলিগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন, তারা চ্যানেলগুলোতে প্রবেশ করতে গেলে এরর দেখাচ্ছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুগলের এক কর্মী। আর বিভিন্ন অ্যাপের জন্য গুগলের জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা নিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভার্জে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে হামাস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের প্ল্যাটফর্মে যুদ্ধবিষয়ক গুজব ঠেকানোর কথা জানিয়েছে মেটা ও এক্স। তবে টেলিগ্রামের কনটেন্ট মডারেশন ব্যবস্থা কিছুটা শিথিল। বাধ্য না করলে কোম্পানিটি কোনো চ্যানেল অ্যাপ থেকে সরায় না।

টেলিগ্রাম সিইও পাভেল দুরভ জানান, তিনি হামাসের ব্যবহৃত চ্যানেলগুলো বন্ধ করার বিষয়ে সন্দীহান, কারণ যুদ্ধবিষয়ক সম্প্রচার ঠেকানোর বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তা ছাড়া হামলার কিছুদিন আগে নাগরিকদের এলাকাটি থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করতে টেলিগ্রাম ব্যবহার করেছিল হামাস।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অনুসারে, নিজেদের অভিযানের ভিডিও ছড়ানোর উদ্দেশ্যেও টেলিগ্রাম ব্যবহার করেছে হামাস। টেলিগ্রামে নিষিদ্ধ হওয়া চ্যানেলগুলোর একটি ব্যবহার করত হামাসের সামরিক শাখা।

উল্লেখ্য, ইউরোপে ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ) কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির ওপর আইনটি প্রয়োগ করার ক্ষমতা পেয়েছে ইইরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলো। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে যুদ্ধ শুরুর পর মেটা ও এক্স-এর কনটেন্ট মডারেশন ব্যবস্থা জোরদার করা নিয়ে ইইউর কমিশনার থিয়েরি ব্রেটনের চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হামাসের ব্যবহৃত বিভিন্ন টেলিগ্রাম চ্যানেল বন্ধ

আপডেট সময় : ০৬:৪২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

জনপ্রিয় মেসেজিং সেবা প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রাম তাদের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে হামাসের ব্যবহৃত বিভিন্ন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। গুগলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালাকে কারণ দেখিয়ে এসব চ্যানেল বন্ধ করা হয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাস_কম ও আল কাসাম ব্রিগেডস নামের দুটি চ্যানেল অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য বন্ধ করেছে টেলিগ্রাম। তবে গাজা নাউসহ হামাসের অন্যান্য চ্যানেলে এখনও প্রবেশ করা যাচ্ছে।

এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পেছনে গুগলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালাকে দায়ী করছে টেলিগ্রাম। যারা গুগল প্লে স্টোর থেকে টেলিগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন, তারা চ্যানেলগুলোতে প্রবেশ করতে গেলে এরর দেখাচ্ছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুগলের এক কর্মী। আর বিভিন্ন অ্যাপের জন্য গুগলের জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা নিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভার্জে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে হামাস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের প্ল্যাটফর্মে যুদ্ধবিষয়ক গুজব ঠেকানোর কথা জানিয়েছে মেটা ও এক্স। তবে টেলিগ্রামের কনটেন্ট মডারেশন ব্যবস্থা কিছুটা শিথিল। বাধ্য না করলে কোম্পানিটি কোনো চ্যানেল অ্যাপ থেকে সরায় না।

টেলিগ্রাম সিইও পাভেল দুরভ জানান, তিনি হামাসের ব্যবহৃত চ্যানেলগুলো বন্ধ করার বিষয়ে সন্দীহান, কারণ যুদ্ধবিষয়ক সম্প্রচার ঠেকানোর বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তা ছাড়া হামলার কিছুদিন আগে নাগরিকদের এলাকাটি থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করতে টেলিগ্রাম ব্যবহার করেছিল হামাস।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অনুসারে, নিজেদের অভিযানের ভিডিও ছড়ানোর উদ্দেশ্যেও টেলিগ্রাম ব্যবহার করেছে হামাস। টেলিগ্রামে নিষিদ্ধ হওয়া চ্যানেলগুলোর একটি ব্যবহার করত হামাসের সামরিক শাখা।

উল্লেখ্য, ইউরোপে ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ) কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির ওপর আইনটি প্রয়োগ করার ক্ষমতা পেয়েছে ইইরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলো। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে যুদ্ধ শুরুর পর মেটা ও এক্স-এর কনটেন্ট মডারেশন ব্যবস্থা জোরদার করা নিয়ে ইইউর কমিশনার থিয়েরি ব্রেটনের চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে।