লগি-বৈঠা নিয়ে যারা নামবে তাদের ছবি তুলে রাখুন: এবি পার্টি
- আপডেট সময় : ০৩:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
২৮ অক্টোবর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা ও সংঘাত সৃষ্টি করতে যারা লগি-বৈঠা নিয়ে নামবে তাদের ছবি তুলে রাখার আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি। সংঘাতকারীদের ছবি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও দূতাবাসগুলোতে পাঠানোর জন্যও দলটি গণতন্ত্রকামী জনতার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ঘোষিত গণতন্ত্র সমাবেশ সফল করতে আয়োজিত প্রস্তুতি কমিটির সভায় এসব কথা বলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব বিএম নাজমুল হক, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, জননেতা আব্দুল বাসেত মারজান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেইন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যাকারী একটি দল। ১৯৭২ সালে এই আওয়ামী লীগ বিরোধী দল মত নিশ্চিহ্ন করতে রক্ষীবাহিনী গঠন করে চল্লিশ হাজার যুবককে হত্যা করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেই একসময় বলেছেন চিরদিনের জন্য তত্বাবধায়ক সরকার চাই, আজ তার বক্তব্য পুরো উল্টো। সারাজীবন দেশ ও দেশের জনগণের সঙ্গে বেঈমানী করাই আওয়ামী চরিত্র। আগের রাতে ভোট চুরি করে আবার ক্ষমতায় আসার যে চক্রান্ত তা এবার আর বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
অ্যাডভেকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এই সরকার ও তার পদলেহনকারী গুটিকয়েক ব্যক্তি ছাড়া গোটা দেশের সকল দল ও মতের মানুষ আজ একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী দেশের মানুষকে আজ গোলামে পরিণত করতে চায়, তারা ইতোমধ্যেই লুটপাট আর অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এই লুট অব্যাহত রাখতে তারা কিছু স্বার্থান্বেষী সরকারি কর্মকর্তাকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের বলতে চাই, আপনারা আমাদের ভাই- দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও জনগণের কল্যাণের জন্য জাতি আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। ব্যক্তি স্বার্থে যদি আপনারা দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেন তাহলে জাতি কখনো আপনাদের ক্ষমা করবে না।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিরোধী দলগুলো যখন গণতন্ত্র রক্ষায় মহাসমাবেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, সরকার তখন নানা ধরনের হিংসাত্মক বক্তব্য দিয়ে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা বলতে চাই, সরকারি দলের এই সমস্ত বক্তব্যে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বা সাধারণ জনগণের জানমালের কোন ক্ষতি হলে তার দ্বায় সরকারি দলকেই বহন করতে হবে। দেশপ্রেমিক জনতাকে বলতে চাই, কোনো ধরনের হিংসাত্মক কাজ যারা করবে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর যদি কেউ হামলা করে তাহলে তাদের ছবি, ভিডিও ধারণ করে রাখবেন। গণতন্ত্রকামী বিশ্বের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের সহকারী সদস্য সচিব সাঈদ নোমান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান ব্যাপারী, আফ্রিদ হাসান তমাল, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুবনেতা আলী নাসের খান, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, রুনা আক্তার, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, আমিরুল ইসলাম নুর, সাবেক ছাত্রনেতা রিপন মাহমুদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।