০২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • ৭৫ দেখেছেন

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে টানা চতুর্থ হারের স্বাদ দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে জয়টি সহজে ধরা দেয়নি প্রোটিয়াদের হাতে। বারব-রিজওয়ানদের দেয়া টার্গেট একটা সময় মনে হয়েছি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবে পাকিস্তান। কিন্তু শেষ দিকে পাক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয় তুলতে বেগ পেতে হয় তাদের। তবে প্রোটিয়াদের জয়ের পথটি আগেই তৈরি করে দেন এইডেন মার্করাম। তার উইলো থেকে ম্যাচ জয়ী ৯১ রানের ইনিংস বের হয়ে আসে।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় মাঠে নামে দু’দল। টস জিতে আগে ব্যাটিং করে অধিনায়ক বাবর আজম ও শাদাব খানের হাফসেঞ্চুরিতে ২৭০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা এইডেন মার্করামে ৯১ রানে ভর করে ১৬ বল ও ১ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয়। এ হারের ফলে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেমিতে খেলার স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে গেলো।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বরাবরের মতোই উদ্বোধনী জুটি পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যর্থ দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। পাকিস্তানকে বিপদে ফেলে দ্রুতই ফিরে যান দুই উদ্বোধনী ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন বাবর-রিজওয়ান। দলীয় ৮৬ রানে রিজওয়ানকে উইকেটের পেছনে ডি ককের ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন কোয়েটজি। চতুর্থ উইকেটে ইফতিখারকে নিয়ে বাবর ৪৩ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১২৯ রানে তাবরাইজ শামসির বলে ক্লাসের দুর্দান্ত ক্যাচে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইফতিখার। ১২ রান পর দলীয় ১৪১ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক বাবর আজম। তার আগে বাবর ৬৫ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রানের ইনিংস উপহার দেন।

বাবরের বিদায়ের পর ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খান ও সৌদ শাকিল মিলে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। দলীয় ২২৫ রানে শাদাব কোয়েটজির বলে আউট হলে ভাঙে জুটি। তার আগে শাদাব ৩৬ বলে ২ ছয় ও ৩ চারে করেন ৪৩ রান। দলীয় ২৪০ রানে সৌদ শাকিল বিদায় নিলে পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের পথ বন্ধ হয়ে যায়। শামসির বলে সৌদ উইকেটের পেছনে ডি কককে ক্যাচ দেন। তার আগে ৫২ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপর দ্রুতই শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নওয়াজকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শামসি ও জানসেন। আর দলীয় ২৭০ রানে শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। এতে করে ২০ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তাবরাইজ শামসি ৪টি, মার্কো জানসেন ৩টি, কোয়াটজে ২টি ও এনগিদি ১টি উইকেট লাভ করেন।

পাকিস্তানের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে প্রোটিয়ারা ৩৪ রান সংগ্রহ করে। এরপরই ফর্মে থাকা ডি কককে বাউন্ডারী লাইনে সৌদ শাকিলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ম্যাচে কখনোই মনে হয়নি প্রোটিয়ারা হারতে পারে। পুরো ম্যাচকে একপেশে বানিয়ে ফেলেন এইডেন মার্করাম। তিনি ৯৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তবে তার বিদায়ের পর ম্যাচ জমিয়ে তোলে পাক বোলাররা।

৭ উইকেটে ২৫০ থেকে ৯ উইকেটে ২৬০ রানে গিয়ে দাঁড়ায়। শেষ মুহূর্তে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৪ রান আর পাকিস্তানের ১ উইকেট। ঠিক সেই পর্যায়ে মোহাম্মদ নওয়াজকে বাউন্ডারি মেরে দেন কেশব মহারাজ। তাতে বাবরদের কাঁদিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নেয় টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা।

শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা

আপডেট : ০৫:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে টানা চতুর্থ হারের স্বাদ দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে জয়টি সহজে ধরা দেয়নি প্রোটিয়াদের হাতে। বারব-রিজওয়ানদের দেয়া টার্গেট একটা সময় মনে হয়েছি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবে পাকিস্তান। কিন্তু শেষ দিকে পাক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয় তুলতে বেগ পেতে হয় তাদের। তবে প্রোটিয়াদের জয়ের পথটি আগেই তৈরি করে দেন এইডেন মার্করাম। তার উইলো থেকে ম্যাচ জয়ী ৯১ রানের ইনিংস বের হয়ে আসে।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় মাঠে নামে দু’দল। টস জিতে আগে ব্যাটিং করে অধিনায়ক বাবর আজম ও শাদাব খানের হাফসেঞ্চুরিতে ২৭০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা এইডেন মার্করামে ৯১ রানে ভর করে ১৬ বল ও ১ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয়। এ হারের ফলে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেমিতে খেলার স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে গেলো।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বরাবরের মতোই উদ্বোধনী জুটি পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যর্থ দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। পাকিস্তানকে বিপদে ফেলে দ্রুতই ফিরে যান দুই উদ্বোধনী ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন বাবর-রিজওয়ান। দলীয় ৮৬ রানে রিজওয়ানকে উইকেটের পেছনে ডি ককের ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন কোয়েটজি। চতুর্থ উইকেটে ইফতিখারকে নিয়ে বাবর ৪৩ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১২৯ রানে তাবরাইজ শামসির বলে ক্লাসের দুর্দান্ত ক্যাচে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইফতিখার। ১২ রান পর দলীয় ১৪১ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক বাবর আজম। তার আগে বাবর ৬৫ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রানের ইনিংস উপহার দেন।

বাবরের বিদায়ের পর ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খান ও সৌদ শাকিল মিলে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। দলীয় ২২৫ রানে শাদাব কোয়েটজির বলে আউট হলে ভাঙে জুটি। তার আগে শাদাব ৩৬ বলে ২ ছয় ও ৩ চারে করেন ৪৩ রান। দলীয় ২৪০ রানে সৌদ শাকিল বিদায় নিলে পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের পথ বন্ধ হয়ে যায়। শামসির বলে সৌদ উইকেটের পেছনে ডি কককে ক্যাচ দেন। তার আগে ৫২ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপর দ্রুতই শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নওয়াজকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শামসি ও জানসেন। আর দলীয় ২৭০ রানে শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। এতে করে ২০ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তাবরাইজ শামসি ৪টি, মার্কো জানসেন ৩টি, কোয়াটজে ২টি ও এনগিদি ১টি উইকেট লাভ করেন।

পাকিস্তানের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে প্রোটিয়ারা ৩৪ রান সংগ্রহ করে। এরপরই ফর্মে থাকা ডি কককে বাউন্ডারী লাইনে সৌদ শাকিলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ম্যাচে কখনোই মনে হয়নি প্রোটিয়ারা হারতে পারে। পুরো ম্যাচকে একপেশে বানিয়ে ফেলেন এইডেন মার্করাম। তিনি ৯৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তবে তার বিদায়ের পর ম্যাচ জমিয়ে তোলে পাক বোলাররা।

৭ উইকেটে ২৫০ থেকে ৯ উইকেটে ২৬০ রানে গিয়ে দাঁড়ায়। শেষ মুহূর্তে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৪ রান আর পাকিস্তানের ১ উইকেট। ঠিক সেই পর্যায়ে মোহাম্মদ নওয়াজকে বাউন্ডারি মেরে দেন কেশব মহারাজ। তাতে বাবরদের কাঁদিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নেয় টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা।