১০:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলে হামাসের রকেট হামলা

আবারও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার হামাসের সামরিক শাখা আল–কাসামস বিগ্রেড দাবি করেছে, গাজায় নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্বিচারে বোমা হামলার জবাবে এবার তেল আবিবে এই হামলা করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ সূত্রের বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা এ খবর জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা গাজা থেকে তেল আবিব, অধিকৃত জেরুজালেম, জাফা এবং ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলীয় আরো কয়েকটি শহরে বহু রকেট নিক্ষেপ করেছে।

খবরে আরো বলা হয়েছে, এসব রকেটের একাংশ ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের আঘাতে ধ্বংস হলেও বহু রকেট তেল আবিবসহ অন্যান্য শহরে আঘাত হেনেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা বলছে, শুক্রবার আধা ঘণ্টার মধ্যে তেল আবিবের একটি আবাসিক ভবনে দুটো রকেট হামলা হয়। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে কেউ হামলার দায় না নিলেও পরে দায় স্বীকার করে আল–কাসাম বিগ্রেড। তবে তারা একটি রকেট হামলার দাবি করেছে।

হামাস এসব রকেট নিক্ষেপ করার পর তেল আবিব, হোলেন, ইলেড, রিশন লেতজিওন, রামাত হাশরন, রামাত গান, বেই দেগান, গেফাতাইন ও কায়ার চাবাদ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্ক সংকেত হিসেবে সাইরেন বেজে ওঠে। সাইরেনের শব্দ শুনে হাজার হাজার ইসরাইলি ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়। ইসরাইলের শহরগুলোতে রকেট আঘাত হানার ফলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির খবর প্রচার করেনি তেল আবিব।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজার নিরস্ত্র জনগণের ওপর ইসরাইলের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব রকেট নিক্ষেপ করেছে।

যুদ্ধবিরতি ছাড়া ইসরায়েল থেকে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হামাস। রাশিয়া সফররত সংগঠনটির এক সদস্য স্থানীয় গণমাধ্যমকে এমনটি জানিয়েছেন। আবু হামিদ নামের হামাসের এক সদস্য রুশ সংবাদমাধ্যম কমার্স্যান্তকে জানান, আটক ইসরায়েলিদের খোঁজ পেতে সময় প্রয়োজন।

এর আগে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানায়, ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল ও রুশ সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৭০০। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

ইসরাইলে হামাসের রকেট হামলা

আপডেট : ০২:৫৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

আবারও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার হামাসের সামরিক শাখা আল–কাসামস বিগ্রেড দাবি করেছে, গাজায় নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্বিচারে বোমা হামলার জবাবে এবার তেল আবিবে এই হামলা করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ সূত্রের বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা এ খবর জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা গাজা থেকে তেল আবিব, অধিকৃত জেরুজালেম, জাফা এবং ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলীয় আরো কয়েকটি শহরে বহু রকেট নিক্ষেপ করেছে।

খবরে আরো বলা হয়েছে, এসব রকেটের একাংশ ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের আঘাতে ধ্বংস হলেও বহু রকেট তেল আবিবসহ অন্যান্য শহরে আঘাত হেনেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা বলছে, শুক্রবার আধা ঘণ্টার মধ্যে তেল আবিবের একটি আবাসিক ভবনে দুটো রকেট হামলা হয়। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে কেউ হামলার দায় না নিলেও পরে দায় স্বীকার করে আল–কাসাম বিগ্রেড। তবে তারা একটি রকেট হামলার দাবি করেছে।

হামাস এসব রকেট নিক্ষেপ করার পর তেল আবিব, হোলেন, ইলেড, রিশন লেতজিওন, রামাত হাশরন, রামাত গান, বেই দেগান, গেফাতাইন ও কায়ার চাবাদ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্ক সংকেত হিসেবে সাইরেন বেজে ওঠে। সাইরেনের শব্দ শুনে হাজার হাজার ইসরাইলি ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়। ইসরাইলের শহরগুলোতে রকেট আঘাত হানার ফলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির খবর প্রচার করেনি তেল আবিব।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজার নিরস্ত্র জনগণের ওপর ইসরাইলের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব রকেট নিক্ষেপ করেছে।

যুদ্ধবিরতি ছাড়া ইসরায়েল থেকে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হামাস। রাশিয়া সফররত সংগঠনটির এক সদস্য স্থানীয় গণমাধ্যমকে এমনটি জানিয়েছেন। আবু হামিদ নামের হামাসের এক সদস্য রুশ সংবাদমাধ্যম কমার্স্যান্তকে জানান, আটক ইসরায়েলিদের খোঁজ পেতে সময় প্রয়োজন।

এর আগে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানায়, ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল ও রুশ সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৭০০। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।