দক্ষিণ আফ্রিকা গতকাল দেখিয়েছিল সহজ ম্যাচকে কীভাবে কঠিন করে জিততে হয়। আর আজ বাংলাদেশ দেখাল কীভাবে যেকোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচ কঠিন বানিয়ে হারতে হয়।
ধীরগতির উইকেট, প্রথম ইনিংসে মোস্তাফিজের বলে যেমন আচরণ করছিল, তাতে ২৩০ রানের লক্ষ্য খুব সহজ নয়। কিন্তু রাতে শিশির পড়ায় ব্যাটিং করা সহজ। কিন্তু যেকোনো কন্ডিশনকেই কঠিন আর যেকোনো উইকেটকে বোলিং উইকেট বানানোয় ওস্তাদ বাংলাদেশের ব্যাটিং। ৪৬ বল আগে ৮৭ রানে হেরে যাওয়ার পথে ১৪২ রানে অলআউট বাংলাদেশ।
৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয় পাওয়া বাংলাদেশের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
শুরুতেই লিটন দাসের বোকামি। প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে ০ রানে জীবন দিয়েছেন তিনি, সেই স্কট এডওয়ার্ডস পরে ৬৮ রান করেছেন। কোথায় তার দায় মেটাবেন, উল্টো অফস্পিনার আরিয়ান দত্তর বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন। দলের রান ১৯ থাকতেই পুল করতে গিয়ে আউট অন্য ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
অফ স্পিনার বল করছেন দেখে মিরাজকে তিনে নামানো হয়েছিল, লাইনআপে পরিবর্তনের ফলে চারে নামেন শান্ত। দুই বন্ধুর জুটিতে ২৬ রান আসার পর খোঁচা মেরে আউট শান্ত (৯)।
মিরাজ দারুণ খেলছিলেন। অন্য প্রান্তে বাংলাদেশ থেকে সদ্য টিপস নিয়ে যাওয়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু ফন মিকেরেনের বলে তিনে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে দিলেন। ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ঠিক ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারানো ডাচরা পরে ২২৯ রান তুলেছিল।
পরের ওভারে একটা চার মেরে মিরাজ সে আশা দেখিয়েছেন। তারপর বাস ডে লেইডের বলেই অনেক বাইরে বল ড্রাইভ করতে গিয়ে এডওয়ার্ডসের চতুর্থ ক্যাচে পরিণত হলেন মিরাজ। ৪০ বলে ৩৫ রান করে ফিরেছেন মিরাজ।
৬৯ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের শেষ ভরসা ছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। মিকেরেনের একটা ইনসুইং বল মুশফিকের ব্যাটের স্পর্শ নিয়ে স্টাম্পে চলে এল। মনে রাখা ভালো, ০ রানে থাকা এডওয়ার্ডসের ক্যাচ মুশফিকও ফেলেছিলেন। ১৮তম ওভারে ৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এরপর কিছুক্ষণ বিরতি। শেখ মেহেদী হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্যে নেমেছিলেন। ১২ ওভার জমে গিয়েছিল জুটি। তাতে এসেছে ৩৭ রান। কিন্তু খশণিকের সিদ্ধান্তহিনতায়রান আউট হয়ে গেলেন মেহেদী (১৭)।
সঙ্গী হারানোর শোক সামলাতে না পেরে ১৭ বল পরে মাহমুদউল্লাহও গেলেন। ৪১ বলে ২০ রানের ইনিংসটি থেমেছে ডে লেইডের বলে। পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। বাংলাদেশের রান তখন ১১৩।
এরপর মোস্তাফিজের ২০ রানে নবম উইকেট জুটিতে আসে ২৯ রান। অ্যাকারম্যানের দারুণ এক বল সে লড়াইটা থামিয়ে দেয়। শেষ উইকেট জুটি কোনো রান যোগ করার যন্ত্রণা নেয়নি।