ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নোংরা পানি,পচা খাবারই ভরসা ফিলিস্তিনিদের

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে বিপাকে পড়েছেন ভূখণ্ডটির বেসমারিক লোকজন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাতে থাকেন আসমা। এ যুদ্ধের কারণে ১০ বছর বয়সী ক্যানসার আক্রান্ত সন্তান ফিরাসকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে আসমা জানান, গাজার উত্তরাঞ্চল ও রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে অনেক মানুষজন শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্র্য় নিয়েছেন। এরমধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।

ফিলিস্তিনি এ নারী বলেন, আমার পরিবার থেকে বাবা-মা, ভাইয়ের স্ত্রী, আমার বোন ও তাঁর সন্তান এবং প্রতিবেশীরা আছেন। তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন যে, ক্যাম্পের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে নোংরা পানি খাওয়ানো হচ্ছে। এগুলো দিয়ে গোসল করা ও কাপড়ও ধোয়া যাচ্ছে না। অনেকেই পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।

আসমা বলেন, শরণার্থী ক্যাম্পে খাবারও সীমিত। একজন ব্যক্তিকে একটি অথবা দুটি করে রুটি দেওয়া হচ্ছে। সবগুলো খাবারই বাসি। কিছু খাবারে পোকা ধরে গেছে।

ভূক্তভোগীরা জানান, পানির অভাবে ক্যাম্পের মানুষজন গোসল করতে পারছেন। সেইসঙ্গে কাপড়ও ধোয়া যাচ্ছে না। এতে তাঁদের শরীরে একজিমা ও চুলকানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৭০০। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

নিউজটি শেয়ার করুন

নোংরা পানি,পচা খাবারই ভরসা ফিলিস্তিনিদের

আপডেট সময় : ১২:০২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে বিপাকে পড়েছেন ভূখণ্ডটির বেসমারিক লোকজন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাতে থাকেন আসমা। এ যুদ্ধের কারণে ১০ বছর বয়সী ক্যানসার আক্রান্ত সন্তান ফিরাসকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে আসমা জানান, গাজার উত্তরাঞ্চল ও রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে অনেক মানুষজন শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্র্য় নিয়েছেন। এরমধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।

ফিলিস্তিনি এ নারী বলেন, আমার পরিবার থেকে বাবা-মা, ভাইয়ের স্ত্রী, আমার বোন ও তাঁর সন্তান এবং প্রতিবেশীরা আছেন। তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন যে, ক্যাম্পের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে নোংরা পানি খাওয়ানো হচ্ছে। এগুলো দিয়ে গোসল করা ও কাপড়ও ধোয়া যাচ্ছে না। অনেকেই পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।

আসমা বলেন, শরণার্থী ক্যাম্পে খাবারও সীমিত। একজন ব্যক্তিকে একটি অথবা দুটি করে রুটি দেওয়া হচ্ছে। সবগুলো খাবারই বাসি। কিছু খাবারে পোকা ধরে গেছে।

ভূক্তভোগীরা জানান, পানির অভাবে ক্যাম্পের মানুষজন গোসল করতে পারছেন। সেইসঙ্গে কাপড়ও ধোয়া যাচ্ছে না। এতে তাঁদের শরীরে একজিমা ও চুলকানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৭০০। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।