০৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউজিল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৩:১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  • ৬৮ দেখেছেন

শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ছয় রান। সেটি আর অতিক্রম করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাঁচ রানের নাটকীয় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপে আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৮৩ রানে থামে নিউজিল্যান্ড।

ভারতের ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৩ রান করে নিউজিল্যান্ড।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খেই হারায়নি কিউইরা। ৭.২ ওভারে উইল ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে মিলে এনে দেন ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১১ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন জশ হ্যাজেলউড। ১৭ বলে ২৮ রান করা কনওয়ে এবং ৩৭ বলে ৩২ রান করা ইয়ং, দুজনকেই মিচেল স্টার্কের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হ্যাজেলউড।

৭২ রানে দুই উইকেট হারানো কিউইদের হাল ধরেন রাচিন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল। দুজনের ৯৬ রানের জুটিতে প্রাণ ফেরে ব্ল্যাকক্যাপস শিবিরে। দলীয় ১৬৮ রানে বিদায় নেন মিচেল। ৫৪ রান করে পরিণত হন অ্যাডাম জাম্পার শিকারে। মিচেল আউট হওয়ার পর আবারও দ্রুত উইকেট হারায় কিউইরা। অধিনায়ক টম লাথাম ২১ ও গ্লেন ফিলিপস ১২ রান করে সাজঘরে ফিরলে কিছুক্ষণের জন্য মোমেন্টাম হারায় তারা।

তবে, রবীন্দ্র তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৮৯ বলে ৯ চার ও পাঁচ ছক্কায় ১১৬ রান করা রবীন্দ্রকে সাজঘরে ফেরান অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দলকে এনে দেন ব্রেক থ্রু। রবীন্দ্র ফিরলেও ভরসা হয়ে ছিলেন জেমস নিশাম। ৩৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে কিউইদের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ১৩ রানের বেশি নিতে পারেননি নিশাম ও বোল্ট মিলে। ৩৮৩ রানে থেমে গিয়ে লড়াই করেও তাই হার মানতে পাঁচ রানে। অসিদের পক্ষে তিন উইকেট পান জাম্পা। দুটি করে উইকেট শিকার করেন কামিন্স ও হ্যাজেলউড।

এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক লাথাম। তার এই সিদ্ধান্তকে শুরুতেই আক্ষেপে পরিণত করান দুই অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। ১৯.১ ওভারে ১৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুজন মিলে। ৬৫ বলে ৮১ রান করা ওয়ার্নারকে ফিরতি ক্যাচে পরিণত করে ফেরান গ্লেন ফিলিপস। ওয়ার্নার সেঞ্চুরি করতে না পারলেও শতক তুলে নেন অপর ওপেনার ট্রাভিস হেড। ৫৯ বলে সেঞ্চুরি করা হেডের ইনিংস থামে ৬৭ বলে ১০৯ রানে। তাকে বোল্ড করেন ফিলিপস।

শুরুতে খেই হারালেও দুই অসি ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচে কিছুটা ফিরে আসে কিউইরা। ৩৬ রান করা মিচেল মার্শকে বোল্ড করেন মিচেল স্যান্টনার। সুবিধা করতে পারেননি স্টিভ স্মিথ। ১৮ রান করে ফিলিপসের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। গত ম্যাচে ৪০ বলে সেঞ্চুরি করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আজও ছিলেন আগ্রাসী। ২৪ বলে ৪১ রান করে আরেকটি বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দেওয়া ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান জেমস নিশাম।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও থামেনি অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা। শেষ দিকে জশ ইংলিশের ২৮ বলে ৩৮ ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ১৪ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে অসিরা পায় ৩৮৮ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ। অসিদের অলআউট করলেও কিউই থামাতে পারেনি তাদের ব্যাটিং ঝড়।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিনটি করে উইকেট পান ফিলিপস ও বোল্ট। স্যান্টনার নেন দুই উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া : ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮/১০। (ওয়ার্নার ৮১, হেড ১০৯, মার্শ ৩৬, স্মিথ ১৮, লাবুশেন ১৮, ম্যাক্সওয়েল ৪১, ইংলিশ ৩৮, কামিন্স ৩৭, স্টার্ক ১, জাম্পা ০, হ্যাজেলউড ০*; হেনরি ৬.২-০-৬৭-১, বোল্ট ১০-০-৭৭-৩, ফার্গুসন ৩-০-৩৮-০, স্যান্টনার ১০-০-৮০-২, ফিলিপস ১০-০-৩৭-৩, রাচিন ৮-০-৫৬-০, নিশাম ২-০-৩২-১)

নিউজিল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩৮৩/৯ (কনওয়ে ২৮, ইয়ং ৩২, রবীন্দ্র ১১৬, মিচেল ৫৪, লাথাম ২১, ফিলিপস ১২, নিশাম ৫৮, স্যান্টনার ১৭, হেনরি ৯, বোল্ট ১০, ফার্গুসন ০; স্টার্ক ৯-০-৮৯-০, হ্যাজেলউড ৯-০-৭০-২, কামিন্স ১০-০-৬৬-২, ম্যাক্সওয়েল ১০-০-৬২-১, জাম্পা ১০-০-৭৪-৩, মার্শ ২-০-১৮-০)

ফলাফল : অস্ট্রেলিয়া পাঁচ রানে জয়ী।

নিউজিল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

আপডেট : ০৩:১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ছয় রান। সেটি আর অতিক্রম করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাঁচ রানের নাটকীয় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপে আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৮৩ রানে থামে নিউজিল্যান্ড।

ভারতের ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৩ রান করে নিউজিল্যান্ড।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খেই হারায়নি কিউইরা। ৭.২ ওভারে উইল ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে মিলে এনে দেন ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১১ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন জশ হ্যাজেলউড। ১৭ বলে ২৮ রান করা কনওয়ে এবং ৩৭ বলে ৩২ রান করা ইয়ং, দুজনকেই মিচেল স্টার্কের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হ্যাজেলউড।

৭২ রানে দুই উইকেট হারানো কিউইদের হাল ধরেন রাচিন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল। দুজনের ৯৬ রানের জুটিতে প্রাণ ফেরে ব্ল্যাকক্যাপস শিবিরে। দলীয় ১৬৮ রানে বিদায় নেন মিচেল। ৫৪ রান করে পরিণত হন অ্যাডাম জাম্পার শিকারে। মিচেল আউট হওয়ার পর আবারও দ্রুত উইকেট হারায় কিউইরা। অধিনায়ক টম লাথাম ২১ ও গ্লেন ফিলিপস ১২ রান করে সাজঘরে ফিরলে কিছুক্ষণের জন্য মোমেন্টাম হারায় তারা।

তবে, রবীন্দ্র তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৮৯ বলে ৯ চার ও পাঁচ ছক্কায় ১১৬ রান করা রবীন্দ্রকে সাজঘরে ফেরান অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দলকে এনে দেন ব্রেক থ্রু। রবীন্দ্র ফিরলেও ভরসা হয়ে ছিলেন জেমস নিশাম। ৩৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে কিউইদের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ১৩ রানের বেশি নিতে পারেননি নিশাম ও বোল্ট মিলে। ৩৮৩ রানে থেমে গিয়ে লড়াই করেও তাই হার মানতে পাঁচ রানে। অসিদের পক্ষে তিন উইকেট পান জাম্পা। দুটি করে উইকেট শিকার করেন কামিন্স ও হ্যাজেলউড।

এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক লাথাম। তার এই সিদ্ধান্তকে শুরুতেই আক্ষেপে পরিণত করান দুই অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। ১৯.১ ওভারে ১৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুজন মিলে। ৬৫ বলে ৮১ রান করা ওয়ার্নারকে ফিরতি ক্যাচে পরিণত করে ফেরান গ্লেন ফিলিপস। ওয়ার্নার সেঞ্চুরি করতে না পারলেও শতক তুলে নেন অপর ওপেনার ট্রাভিস হেড। ৫৯ বলে সেঞ্চুরি করা হেডের ইনিংস থামে ৬৭ বলে ১০৯ রানে। তাকে বোল্ড করেন ফিলিপস।

শুরুতে খেই হারালেও দুই অসি ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচে কিছুটা ফিরে আসে কিউইরা। ৩৬ রান করা মিচেল মার্শকে বোল্ড করেন মিচেল স্যান্টনার। সুবিধা করতে পারেননি স্টিভ স্মিথ। ১৮ রান করে ফিলিপসের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। গত ম্যাচে ৪০ বলে সেঞ্চুরি করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আজও ছিলেন আগ্রাসী। ২৪ বলে ৪১ রান করে আরেকটি বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দেওয়া ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান জেমস নিশাম।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও থামেনি অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা। শেষ দিকে জশ ইংলিশের ২৮ বলে ৩৮ ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ১৪ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে অসিরা পায় ৩৮৮ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ। অসিদের অলআউট করলেও কিউই থামাতে পারেনি তাদের ব্যাটিং ঝড়।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিনটি করে উইকেট পান ফিলিপস ও বোল্ট। স্যান্টনার নেন দুই উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া : ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮/১০। (ওয়ার্নার ৮১, হেড ১০৯, মার্শ ৩৬, স্মিথ ১৮, লাবুশেন ১৮, ম্যাক্সওয়েল ৪১, ইংলিশ ৩৮, কামিন্স ৩৭, স্টার্ক ১, জাম্পা ০, হ্যাজেলউড ০*; হেনরি ৬.২-০-৬৭-১, বোল্ট ১০-০-৭৭-৩, ফার্গুসন ৩-০-৩৮-০, স্যান্টনার ১০-০-৮০-২, ফিলিপস ১০-০-৩৭-৩, রাচিন ৮-০-৫৬-০, নিশাম ২-০-৩২-১)

নিউজিল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩৮৩/৯ (কনওয়ে ২৮, ইয়ং ৩২, রবীন্দ্র ১১৬, মিচেল ৫৪, লাথাম ২১, ফিলিপস ১২, নিশাম ৫৮, স্যান্টনার ১৭, হেনরি ৯, বোল্ট ১০, ফার্গুসন ০; স্টার্ক ৯-০-৮৯-০, হ্যাজেলউড ৯-০-৭০-২, কামিন্স ১০-০-৬৬-২, ম্যাক্সওয়েল ১০-০-৬২-১, জাম্পা ১০-০-৭৪-৩, মার্শ ২-০-১৮-০)

ফলাফল : অস্ট্রেলিয়া পাঁচ রানে জয়ী।