ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অগ্রযাত্রা যেনো না থামে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক মরণোত্তর `ডক্টর অব লজ` ডিগ্রি দিয়েছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার (২৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বিশেষ সমাবর্তনে বাবার ডিগ্রি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বদলে গেছে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যাতে থেমে না যায় সেদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রায় ১৮ হাজার অতিথিদের পদচারণায় মুখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেয়া হবে সম্মানসূচক মরণোত্তর `ডক্টর অব লজ` ডিগ্রি। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই পূর্ণ হয়ে যায় সমাবর্তনস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। রবিবার সকাল এগারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের রীতি অনুযায়ী শোভাযাত্রায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে পালন হয় এক মিনিটের নিরবতা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন হয় সমাবর্তনে। এরপর বঙ্গবন্ধুকে দেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানসূচক মরণোত্তর `ডক্টর অব লজ` ডিগ্রির মাহেন্দ্রক্ষণ। জাতির পিতার পক্ষে তা গ্রহণ করেন জেষ্ঠ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণ করেন। বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অংশগ্রহণ আন্দোলনের মধ্যেই নিহিত ছিলো এ দেশের স্বাধীনতা।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পক্ষে কাজ করেন বঙ্গবন্ধু। পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর বর্তমানে উন্নয়ন সংগ্রাম ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে সরকার।

বাংলাদেশের মানুষ যাতে বিশ্ব দরবার মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে সেটাই সরকারের লক্ষ্য বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অগ্রযাত্রা যেনো না থামে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০৯:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক মরণোত্তর `ডক্টর অব লজ` ডিগ্রি দিয়েছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার (২৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বিশেষ সমাবর্তনে বাবার ডিগ্রি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বদলে গেছে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যাতে থেমে না যায় সেদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রায় ১৮ হাজার অতিথিদের পদচারণায় মুখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেয়া হবে সম্মানসূচক মরণোত্তর `ডক্টর অব লজ` ডিগ্রি। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই পূর্ণ হয়ে যায় সমাবর্তনস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। রবিবার সকাল এগারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের রীতি অনুযায়ী শোভাযাত্রায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে পালন হয় এক মিনিটের নিরবতা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন হয় সমাবর্তনে। এরপর বঙ্গবন্ধুকে দেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানসূচক মরণোত্তর `ডক্টর অব লজ` ডিগ্রির মাহেন্দ্রক্ষণ। জাতির পিতার পক্ষে তা গ্রহণ করেন জেষ্ঠ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণ করেন। বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অংশগ্রহণ আন্দোলনের মধ্যেই নিহিত ছিলো এ দেশের স্বাধীনতা।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পক্ষে কাজ করেন বঙ্গবন্ধু। পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর বর্তমানে উন্নয়ন সংগ্রাম ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে সরকার।

বাংলাদেশের মানুষ যাতে বিশ্ব দরবার মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে সেটাই সরকারের লক্ষ্য বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।