নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ১০ ধরনের আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। এসব আলামত কেমিকেল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।
গতকাল শনিবারের সমাবেশের পর থেকেই কার্যত বন্ধ ছিল দলটির এই অফিস। পরে আজ রোববার সকালে সিআইডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরে তাঁরা কার্যালয়ের প্রবেশমুখের অংশে 'ক্রাইম সিন' লেখা টেপ দিয়ে ঘিরে রাখা অংশে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আগের দিনের সংঘর্ষের আলামত সংগ্রহ করেন।
ক্রাইম সিন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ১০ ধরনের আলামত সংগ্রহ করেছি। এখন এগুলো কেমিকেল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। কেমিকেল ল্যাবের রিপোর্ট থেকে জানা যাবে, এখানে কী ধরনের এক্সেপ্লোশন হয়েছে, বিস্ফোরক রয়েছে।
পরীক্ষায় কতদিন সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোনো সময় বলতে পারেননি।
এদিকে সকালে সিআইডির ৯ সদস্য নয়াপল্টনের ক্রাইম সিন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় প্রবেশ করেন এবং আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। তাঁরা রাস্তায় পড়ে থাকা পুড়ে যাওয়া ছাই, বিভিন্ন দ্রব্য আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে।
এর আগে ভোরে কার্যালয়ের সামনে 'ক্রাইস সিন' লেখা হলুদ টেপ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট তালা দিয়ে বন্ধ করা হয়।
সরেজমিনে বেলা ১২টার পর দেখা যায়, কার্যালয়ের দুপাশে এক স্তরের পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশের সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে কোনো নেতা-কর্মী দেখা যায়নি। নয়াপল্টনের সড়ক দিয়ে কিছুক্ষণ পরপর টহল দিচ্ছে বিজেবি।
ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া সকাল-সন্ধ্যা হরতালে নয়াপল্টনের এই সড়কে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। বন্ধ রয়েছে বিপনী-বিতানগুলো।