ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথিত উপদেষ্টা বিমানবন্দরে আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। রোববার বিকেলে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

শাহজালাল বিমানবন্দরের ওসি ইমিগ্রেশন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আরেফিকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত শনিবার নয়াপল্টনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশত। এ সময় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপরও হামলা করা হয়। ভাংচুর করা হয় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।

দিনভর সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলন ডাকে। এই সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে বক্তব্য দেন আরেফি। অবশ্য সেই দিন রাতেই এ তথ্য অস্বীকার করে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, মার্কিন সরকারের কোনো কর্মকর্তাই বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে রোববার সকালেই আরেফিকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সে (আরেফি) বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, তাঁর ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথিত উপদেষ্টা বিমানবন্দরে আটক

আপডেট সময় : ০৩:০৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। রোববার বিকেলে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

শাহজালাল বিমানবন্দরের ওসি ইমিগ্রেশন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আরেফিকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত শনিবার নয়াপল্টনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশত। এ সময় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপরও হামলা করা হয়। ভাংচুর করা হয় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।

দিনভর সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলন ডাকে। এই সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে বক্তব্য দেন আরেফি। অবশ্য সেই দিন রাতেই এ তথ্য অস্বীকার করে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, মার্কিন সরকারের কোনো কর্মকর্তাই বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে রোববার সকালেই আরেফিকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সে (আরেফি) বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, তাঁর ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।’