ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েল বা গাজায় সেনা পাঠাবে না আমেরিকা: কমলা হ্যারিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েল–হামাস সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েল বা গাজা কোথাও সেনা পাঠানোর ইচ্ছা আমেরিকার নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

৬০ মিনিটের এক সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমাদের একেবারেই কোনো ইচ্ছা নেই ইসরায়েল বা গাজায় সেনা পাঠানোর। এ ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনাও করা হচ্ছে না।’

তবে আমেরিকা ইসরাইলকে পরামর্শ, সরঞ্জাম ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে বলেও জানান কমলা হ্যারিস।

মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে হামাস ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কোনো সংঘাত হয় না।’

‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে সবাইকে অবশ্যই যুদ্ধের নিয়ম মানতে হবে। ফিলিস্তিনিদেরও নিজেদের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। সেখানে আরও বেশি মানবিক সাহায্য–সহযোগিতা পাঠানো প্রয়োজন।’– বলেন কমলা হ্যারিস

তিনি আরও জানান, সংঘাতকে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আমেরিকা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় সংঘাতকে উসকে না দেওয়ার জন্য ইরানকে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অপরদিকে হামাসের হামলায় মারা গেছে ১ হাজার ৪০০’র বেশি ইসরায়েলি।

এরই মধ্যে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের অনেক টানেল ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। শয্যা খালি না থাকায় নতুন রোগী নিতে পারছে না হাসপাতালগুলো। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গিয়েও ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন বাস্তুচ্যুত লোকজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েল বা গাজায় সেনা পাঠাবে না আমেরিকা: কমলা হ্যারিস

আপডেট সময় : ০৮:২৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েল–হামাস সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েল বা গাজা কোথাও সেনা পাঠানোর ইচ্ছা আমেরিকার নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

৬০ মিনিটের এক সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমাদের একেবারেই কোনো ইচ্ছা নেই ইসরায়েল বা গাজায় সেনা পাঠানোর। এ ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনাও করা হচ্ছে না।’

তবে আমেরিকা ইসরাইলকে পরামর্শ, সরঞ্জাম ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে বলেও জানান কমলা হ্যারিস।

মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে হামাস ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কোনো সংঘাত হয় না।’

‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে সবাইকে অবশ্যই যুদ্ধের নিয়ম মানতে হবে। ফিলিস্তিনিদেরও নিজেদের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। সেখানে আরও বেশি মানবিক সাহায্য–সহযোগিতা পাঠানো প্রয়োজন।’– বলেন কমলা হ্যারিস

তিনি আরও জানান, সংঘাতকে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আমেরিকা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় সংঘাতকে উসকে না দেওয়ার জন্য ইরানকে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অপরদিকে হামাসের হামলায় মারা গেছে ১ হাজার ৪০০’র বেশি ইসরায়েলি।

এরই মধ্যে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের অনেক টানেল ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। শয্যা খালি না থাকায় নতুন রোগী নিতে পারছে না হাসপাতালগুলো। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গিয়েও ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন বাস্তুচ্যুত লোকজন।