দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোট। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) জোটটি থেকে এ কথা বলা হয়। পাশাপাশি বিএনপি মহাসচিবসহ বিরোধী দলগুলোর গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে জোটটির শীর্ষ নেতারা বলেন, বিরোধী দলগুলোর নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করে আবারও ২০১৪ সালের মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে ক্ষমতাসীন সরকার। বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটসহ সকল বিরোধীদলের ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশি হামলা, গুলি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ অন্যান্য নেতাদের নানাভাবে হয়রানি ও অপদস্ত করা হচ্ছে। এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ করে গ্রেপ্তারকৃত সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ও যুগপৎ আন্দোলনে শরিক সকল দলের নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।
গ্রেপ্তার নির্যাতন করে জনগণের ভোটের দাবি আদায়ের আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ সফল করার নেতাকর্মী ও দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ১২ দলীয় জোটপ্রধান সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)-এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন প্রমুখ।