০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৭টি মসজিদ ও ৭টি গির্জা ধ্বংস

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতাল, বিদ্যালয় এমনকি উপাসনালয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৭টি মসজিদ ও ৭টি গির্জা ধ্বংস হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজা মিডিয়া অফিসের পরিচালক সালামা মারৌফের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইসরায়েলি বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ২ লাখ ২০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ৩২ হাজার ভবন। গত তিন সপ্তাহের হামলায় অন্তত ২০৩টি স্কুল এবং ৮০টি সরকারি অফিস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এদিকে গাজার উত্তরাংশের ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আজ সোমবার দিনের শুরুর কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েল তীব্র গোলা ও বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে এসব হামলা নিয়ে হামাস বা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।

শুক্রবার সেনাদের গাজার পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে ভূখণ্ডটিতে অনুপ্রবেশ করে স্থল অভিযান বিস্তৃত করার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। এর দুইদিন পর রোববার পশ্চিম উপকূল দিয়ে যুদ্ধ ট্যাংক প্রবেশ করার ছবি প্রকাশ করে তাঁরা। এতে গাজাকে ইসরায়েলি বাহিনী সবদিক থেকে ঘিরে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে, এমন আভাস দেওয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপত্যকার উত্তরাংশে তীব্র গোলা ও বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় গাজার নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের প্রায় অর্ধেকই শিশু। চলমান এই হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। অপরদিকে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৭টি মসজিদ ও ৭টি গির্জা ধ্বংস

আপডেট : ১২:০০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতাল, বিদ্যালয় এমনকি উপাসনালয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৭টি মসজিদ ও ৭টি গির্জা ধ্বংস হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজা মিডিয়া অফিসের পরিচালক সালামা মারৌফের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইসরায়েলি বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ২ লাখ ২০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ৩২ হাজার ভবন। গত তিন সপ্তাহের হামলায় অন্তত ২০৩টি স্কুল এবং ৮০টি সরকারি অফিস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এদিকে গাজার উত্তরাংশের ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আজ সোমবার দিনের শুরুর কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েল তীব্র গোলা ও বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে এসব হামলা নিয়ে হামাস বা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।

শুক্রবার সেনাদের গাজার পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে ভূখণ্ডটিতে অনুপ্রবেশ করে স্থল অভিযান বিস্তৃত করার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। এর দুইদিন পর রোববার পশ্চিম উপকূল দিয়ে যুদ্ধ ট্যাংক প্রবেশ করার ছবি প্রকাশ করে তাঁরা। এতে গাজাকে ইসরায়েলি বাহিনী সবদিক থেকে ঘিরে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে, এমন আভাস দেওয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপত্যকার উত্তরাংশে তীব্র গোলা ও বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় গাজার নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের প্রায় অর্ধেকই শিশু। চলমান এই হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। অপরদিকে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।